পটুয়াখালীতে অবহেলায় অকেজো কোটি টাকার নৌযান

  • আব্দুস সালাম আরিফ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীতে অকেজো নৌযান, ছবি: বার্তা২৪.কম

পটুয়াখালীতে অকেজো নৌযান, ছবি: বার্তা২৪.কম

নিয়মিত তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণ না করায় পটুয়াখালীতে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকা মূল্যের সরকারি নৌযান। বছরের পর বছর এসব নৌযান রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর এ নিয়ে তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই বললেই চলে।

তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলছেন, এসব নৌযান চালানোর জন্য চালক এবং প্রয়োজনীয় জ্বালানির বরাদ্দ না থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ইচ্ছা থাকলেও এগুলো তারা ব্যবহার করতে পারছেন না।

বিজ্ঞাপন

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের লঞ্চঘাটে সারি সারি নৌযান। একটি মাত্র নৌযান ছাড়া অন্য কোনো নৌযান এখন আর সচল নেই। এর মধ্যে অধিকাংশ নৌযান সরকারের দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের। বিভিন্ন সময় দেশি বিদেশি অর্থায়নে এসব নৌযান কিনলেও সঠিক ব্যবহার না করায় এর অধিকাংশই এখন অকেজো।

পটুয়াখালীতে অবহেলায় অকেজো কোটি টাকার নৌযান

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে আছে কোটি টাকা মূল্যের একটি ওয়াটার এম্বুলেন্স। সর্বশেষ কবে এটি চালানো হয়েছে তার সঠিক কোনো তথ্য নেই পটুয়াখালী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার দফতরে। এমনকি এই দফতরের কতটি নৌযান ছিল এবং এগুলোর কী অবস্থা সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেই কারো কাছে। এছাড়া একাধিক নৌযান থাকলেও এগুলো চালানোর জন্য নেই কোনো চালক কিংবা সহকারী। ফলে দুর্যোগের সময় দুর্গত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষদের উদ্ধারে পরিকল্পনা নিয়ে এই ওয়াটার এম্বুলেন্সটি সরবরাহ করলেও বাস্তবে এটি এখন আর ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না।

পটুয়াখালী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, একাধিক নৌযান থাকলেও এগুলো চালানোর জন্য কোনো ড্রাইভার নেই। এ ছাড়া এর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও বরাদ্দ নেই। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে এগুলো এখনো চালানোর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।

বর্তমানে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের লঞ্চঘাটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মৎস্য বিভাগ, বনবিভাগ সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ১২টি স্পিড বোট কিংবা নৌযান রয়েছে। এর মধ্যে মৎস্য অধিদফতরের একটি স্পিড বোট ছাড়া বাকিগুলো অকেজো।