কারা কর্তৃপক্ষের নাম করে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পটুয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালী জেলা কারাগার। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী জেলা কারাগার। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী জেলা কারাগারে থাকা আসামিদের স্বজনদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় কারা কর্তৃপক্ষের পরিচয় দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছে একটি প্রতারক চক্র। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিকার চেয়ে জনস্বার্থে পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমান একটি মামলা দায়ের করেছেন।

রোববার (৭ জুলাই) পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক আমিরুল ইসলাম আগামী ৭ দিনের মধ্যে পটুয়াখালী সদর থানাকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, গত ৫ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুদ্দুস নামে এক আসামির স্বজনদের কাছে একটি মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করে পটুয়াখালীর জেল সুপার মো. শামসুল হক বলে পরিচয় দেয়া হয়। এরপর তিনি জানান আপনাদের আসামি কুদ্দুস একজন কারারক্ষীকে মারধর করেছে। এ অবস্থায় তাকে আজ রাতেই মাদারীপুর কারাগারে পাঠানো হবে। এছাড়া সরকারি কাজে বাধা দেয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হবে। তবে ৯ হাজার ৩শ টাকা জরিমানা দিলে তার শাস্তি মওকুফ করা হবে। এ কথার পরে কুদ্দুসের স্বজনরা ০১৭৮৭-৫২১৪৪৪ নাম্বারে ৯ হাজার ৩শ টাকা বিকাশ করে।

তবে পরদিন ৬ জুলাই জেলা কারাগারের জেল সুপারের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, তার কার্যালয় থেকে এমন কাউকে ফোন করা হয়নি। এমনকি যে নাম্বার থেকে ফোন করা হয়েছে এবং যে নাম্বারে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়েছে সেটি তার কিংবা তার কোনো কর্মকর্তার নাম্বার নয়।

বিজ্ঞাপন

আইনজীবী নোমান জানান, আসামিরা মানুষের সরল বিশ্বাসকে পুঁজি করে এভাবে প্রতারণা করে আসছে। আর এ কারণেই জনস্বার্থে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর যাবৎ পটুয়াখালী জেলা কারাগারে থাকা আসামিরা অসুস্থ হয়েছে, চিকিৎসা করাতে জেলার বাইরে নিতে হবে, কারারক্ষী কিংবা কারাবন্দীদের সঙ্গে মারামারি হয়েছে এমন নানা অজুহাতে স্বজনদের ফোন করে টাকা আদায়ের মাধ্যমে প্রতারণা করছে একটি চক্র।