তলিয়ে গেছে রাস্তা, মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে ব্রিজ
হাওর এলাকা নামে পরিচিত সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা। এই উপজেলার কান্দিপাড়া ঘাট জুড়ে দেখা মিলবে এই ধরনের দৃশ্য। যতদূর চোখ যায় চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। এই এলাকার মানুষের চলাচলের রাস্তাগুলো পানির নিচে আর পানির মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে ব্রিজ।
সোমবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলায় জীববৈচিত্র সমৃদ্ধ মিঠা পানির এ হাওর ঘুরে এমন সব দৃশ্য দেখা যায়।
এদিকে, হাওর বেষ্টিত উপজেলা হওয়ায় ৬ মাস পানির নিচে এবং ৬ মাস পানির ওপরে থাকে এসব এলাকার রাস্তা। তবে এলাকাবাসীর এই রাস্তাঘাট নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে বলে জানা গেছে।
বর্ষা মৌসুমে কাজের জন্য অন্য জায়গায় যেতে চাওয়ার একমাত্র ভরসা নৌকা, ট্রলার।
এই এলাকার বাসিন্দা জমিস উদ্দিন রাস্তাঘাট নিয়ে অভিযোগ করে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আমাদের এলাকার রাস্তার কাজ নেয়। কিন্তু কাজ না করে রাস্তার জন্য বরাদ্দ কোটি কোটি টাকা তার নিজেদের পকেটে তুলেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে এসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। রাস্তার কাজ ঠিকমতো না করার ফলে এই কাজে নেওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও কর্তব্যরত ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছিল। কিন্তু তারা প্রভাবশালী হওয়ায় জামিন পেয়ে গেছে।’
কান্দিপাড়া ঘাট এলাকার বাসিন্দা ট্রলার চালক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘কাজের জন্য টাকা বরাদ্দ হলেও কাজ না করায় বর্ষা মৌসুমে আমাদের এই ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যদি রাস্তার কাজটা ঠিকমতো করত তাহলে রাস্তাটা পানির নিচে থাকতো না। দাঁড়িয়ে থাকা ব্রিজগুলোর সঙ্গে লেগে থাকত। তাহলে আমরা রাস্তা এবং ব্রিজ ব্যবহার করতে পারতাম। কাজ ভালো মতো হয়নি বলেই রাস্তাগুলো পানির নিচে ডুবে গেছে ব্রিজগুলো দাঁড়িয়ে আছে।’
হাওর জনপদের জুড়ে যে বিস্তীর্ণ মাঠ আছে এগুলো শীতের সময় হাওরের লোকজন ব্যবহার করে। আবার বর্ষা মৌসুমে পানিতে টইটুম্বুর হয়ে যায় মাঠগুলো। বর্ষার সময় বেশিরভাগ মানুষই হাওরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার হাওর ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ রাস্তা পানির নিচে ডুবে আছে। এ অঞ্চলের কাছাকাছি যেসব স্কুল আছে স্কুলগামী বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়ার একমাত্র ভরসা নৌকা-ট্রলার।