রামগঞ্জে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ভাগিনাকে মারধরের প্রতিবাদ করায় আনিছুর রহমান আজাদ (৪৫) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে ইব্রাহিম মিয়া নামে আরেকজন আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনায় জড়িত মো. মহসিনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৮ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের উত্তর ভাটরা নান্দিয়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজাদ ওই ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী ও নান্দিয়ারা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। আটক মহসিন একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
নিহত আজাদের ভাগিনা ও উপজেলা ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াদ হোসেন টিটু বলেন, সন্ধ্যায় নান্দিয়ারা বাজারের একটি দোকানে মহসিন কোন কারণ ছাড়াই ইব্রাহিম মিয়াকে মারধর করছিল। মারধরের কারণ জানতে চাইলে মহসিন আমাকেও মারধর করে। এ সময় হঠাৎ ধারালো অস্ত্র বের করে মহসিন আমাকে তাড়া করে। এক পর্যায়ে আমি দৌড়ে পালিয়ে যাই। পরে আমার মামা আনিছুর রহমান আজাদকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি জানাই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খবর পেয়ে মহসিনের কাছে ভাগিনা টিটুকে মারধরের কারণ জানতে চান আজাদ। এ সময় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মহসিন ক্ষিপ্ত হয়ে দা দিয়ে আজাদকে এলোপাতারি কুপিয়ে হত্যা করে। এতে বাধা দিতে গেলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইব্রাহিমও আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহত ইব্রাহিমকে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনায় সঙ্গে জড়িত মহসিনকে আটক করা হয়েছে। থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।