খাগড়াছড়িতে পানিবন্দী সহস্রাধিক পরিবার

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খাগড়াছড়ি
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভারী বর্ষণের ফলে খাগড়াছড়িতে পানিবন্দী  সহস্রাধিক পরিবার। ছবি: বার্তা২৪.কম

ভারী বর্ষণের ফলে খাগড়াছড়িতে পানিবন্দী সহস্রাধিক পরিবার। ছবি: বার্তা২৪.কম

খাগড়াছড়িতে ভারী বর্ষণের ফলে পাঁচটি এলাকা প্লাবিত হয়ে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি।

বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে খাগড়াছড়ি শহরের গঞ্জপাড়া, মেহেদীবাগ, মুসলিমপাড়া, বটতলী ও কালাডেবা এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এ সব এলাকার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ কারণে খাগড়াছড়ি জেলায় ৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে পৌর শহরের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।

জানা গেছে, মহালছড়িতে সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ডুবে গেছে মহালছড়ি সরকারি কলেজও।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/10/1562746729509.jpg

এদিকে খাগড়াছড়ি শহরের শালবাগান এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী অর্ধশতাধিক পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রমও চলছে পুরোদমে।

খাগড়াছড়িতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬.২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি ব্যাপক পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় পাহাড় ধসে যুগেন্দ্র চাকমা (৪০) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি দীঘিনালার বাবুছড়া ইউনিয়নের দুর্গম উল্টাছড়ি এলাকার সুবধন চাকমার ছেলে।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। পুরো জেলায় ৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ২শ মেট্রিক টন চাল ও দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।