সন্তান কোলে নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে কনে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নারায়ণগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিয়ের কাবিননামায় স্বাক্ষর করছেন কনে নাদিয়া আক্তার/ ছবি: বার্তা২৪.কম

বিয়ের কাবিননামায় স্বাক্ষর করছেন কনে নাদিয়া আক্তার/ ছবি: বার্তা২৪.কম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় নবজাতককে কোলে নিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন কনে নাদিয়া আক্তার।

বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার অডিটোরিয়ামে নবজাতককে কোলে নিয়ে বিয়ের পিড়িতে বসেন ঐ কনে। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও এলাকার ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে এ বিয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, বছর খানেক আগে ভোলাবো এলাকার সালাউদ্দিন ভূইয়ার ছেলে মোবারকের সঙ্গে নাঈম মিয়ার মেয়ে নাদিয়া আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মোবারক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নাদিয়ার সঙ্গে একাধিকবার দৈহিক মিলন ঘটান। এতে করে নাদিয়ার গর্ভে সন্তান চলে আসে। নাদিয়া গর্ভবতী হওয়ার পর থেকেই নাদিয়াকে অস্বীকার করতে শুরু করেন মোবারক।

বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার বিচার সালিশও হয়। গত ছয়দিন আগে নাদিয়া একটি কন্যা শিশুর জন্ম দেন। এদিকে এ সন্তান জন্ম নেওয়ার কয়েক দিন আগে মালেয়শিয়া চলে যান মোবারক।

বিজ্ঞাপন

এদিকে এ ঘটনায় মেয়ের বাবা নাঈম মিয়া ছেলেটিকে ফোনে তার মেয়েকে বিয়ে করার কথা জানালে ছেলের পরিবার বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে এড়িয়ে যায়। বিচারের আশায় পাঁচদিন স্থানীয়দের কাছে ঘুরেও বিষয়টির উপযুক্ত কোনো সমাধান পাননি নাদিয়ার বাবা।

পরে নাঈম মিয়া রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগমের কাছে নবজাতকের পিতৃপরিচয় পেতে বিচার দাবি করেন।

ভোলাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটুর সহযোগিতা নিয়ে ইউএনও বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারকে নোটিশ করেন। পরে বুধবার বিকালে উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে ১০ লাখ টাকা কাবিন ও নবজাতকের নামে দুই শতক জমি লিখে দেওয়ার চুক্তি সাপেক্ষে প্রবাসী মোবারকের সাথে ভিডিও কলে নাদিয়ার বিয়ে দেন।