অধ্যক্ষ সিরাজকে দেখে জ্ঞান হারালেন নুসরাতের মা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ফেনী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অজ্ঞান নুসরাতের মা শিরিন আক্তারকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে, ছবি: সংগৃহীত

অজ্ঞান নুসরাতের মা শিরিন আক্তারকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে, ছবি: সংগৃহীত

আদালতে মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে দেখে জ্ঞান হারিয়েছেন নুসরাত জাহান রাফির মা শিরিন আক্তার।

বুধবার (১০ জুলাই) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আদালত সূত্র জানায়, বুধবার (১০ জুলাই) আদালতে দুপুর ১২টা থেকে নুসরাতের মা শিরিন আক্তারের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হচ্ছে। এ সময় তিনি বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। আদালতের এজলাসে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা, উম্মে সুলতানা পপি ও কামরুন নাহার মনিকে দেখে চিৎকার করে কেঁদে ওঠেন তিনি।

মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে না নেয়ায় তাকে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে- মৃত্যু শয্যায় এসব কথা নুসরাত বলে গেছেন বলে জানান শিরিন আক্তার।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় আলিম পরীক্ষাকেন্দ্রে গেলে নুসরাতকে ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নুসরাত।

এই ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ফেনীর পরিদর্শক শাহ আলম আদালতে ১৬ জনকে আসামি করে চার্জশিট জমা দেন।

এ মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্তে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় অন্য পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে পিবিআই। আদালত তা অনুমোদন করেন। সরকারি ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম চলছে।