চকলেট দিয়ে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ
চুয়াডাঙ্গায় ৭ বছরের এক শিশুকে চকলেট আর চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করা হয়েছে। বুধবার (১০ জুলাই) সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে ওই শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণের পর শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাতে পরিবারের সদস্যরা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে অবস্থা বেগতিক দেখে গ্রাম থেকে পালিয়ে যান ধর্ষক মালেক (৫৫)।
পুলিশ জানায়, ধর্ষক মালেকের স্ত্রী বাড়িতে প্রায়ই সময় থাকে না। এই সুযোগে ছোট্ট ওই শিশুটিকে চকলেট ও চিপস দেওয়ার কথা বলে মালেক ফাঁকা একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় সে ওই শিশুটিকে ঘটনা প্রকাশ না করতে ভয়ভীতিও দেখায়।
হাসপাতালে নির্যতিত শিশুটির মা কান্নাজড়িত কন্ঠে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, বুধবার মেয়েটি তাকে সবকিছু জানালেও লোকলজ্জার ভয়ে তিনি বিষয়টি কাউকে বলেননি। বৃহস্পতিবার মালেক আবারও মেয়ের প্রতি কুদৃষ্টি দিলে সে ভয়ে সবার কাছে নির্যাতনের কথা বলে দেয়। ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে, পালিয়ে যায় ধর্ষক মালেক।
সদর হাসপাতালের গাইনী কনসালটেন্ট ডাক্তার আকলিমা খাতুন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন ডাক্তারি পরীক্ষার পর বিস্তারিত বলা যাবে কি হয়েছিল শিশুটির সাথে।
নির্যাতিত শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে যান পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, ধর্ষক মালেককে গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।