হবিগঞ্জে বন্যার পানিতে ১০ গ্রাম প্লাবিত
হবিগঞ্জে টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া হাওরের পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টিতে হবিগঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কুশিয়ার নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নবীগঞ্জ, বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর পানি শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার দিগলবাক, পারকুল, কসবা, রাধাপুর, দূর্গাপুর, বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলী, সাওদেশ্বরী, ধীতপুর এবং আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর, বদলপুরসহ অন্তত ১০টি গ্রাম নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ায় সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে চালু করা হয়েছে। পানিবন্দি লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
আজমিরীগঞ্জ-মার্কুলি সড়কের অনেক অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় দূর্ভোগ বেড়েছে যাতায়াতে। এখনও নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে রাতে নতুন করে আরও গ্রাম প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহীদুল ইসলাম বলেন- ‘কুশিয়ারা নদীর ঝুঁকিপূর্ণ অংশগুলো মেরামতের জন্য আমাদের লোকজন আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ভাঙন রোধে সেখানে বস্তা ফেলার কাজ চলছে। তবে এখনও নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।’
হবিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও রাজস্ব) তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান- জেলা এবং সকল উপজেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে নদ-নদীর পানি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এবং আইন শৃঙ্খলাসহ সকল দফতরকে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ২শ’ টন চাল এবং ৯৭১ বান্ডিল টিন মজুদ রাখা হয়েছে।