বগুড়ায় যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
রোববার (১৪ জুলাই) যমুনার পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে মানুষ। সেই সঙ্গে পানির নিচে তলিয়ে গেছে ধান, পাটসহ বিভিন্ন ফসল।
এদিকে গবাদি পশু নিয়ে পানিবন্দী মানুষগুলো আরও বিপদে পড়েছে। কোথাও শুকনো জায়গা না থাকায় বাঁশের মাচা তৈরি করে গরু ছাগল রেখেছে অনেকেই।
সরেজমিনে বগুড়া জেলার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার উপর দিয়ে যমুনা নদীর পানি প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। পানি বৃদ্ধির কারণে নদীর পূর্ব পাশের লোকজনকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। তবে বাঁধ থাকায় যমুনা নদীর পশ্চিম পাশের মানুষ এখনো নিরাপদে রয়েছে।
সরেজমিনে যমুনা চরের শিমুল তাইড়, কাজলা, শোনপচা, চালুয়াবাড়িসহ অন্যান্য চরগুলোর বাসিন্দাদের মধ্যে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা গেছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলার ডাকাত মারা দুর্গম চরের বাসিন্দা আজাহার আলী জানান, তার বাড়ির আশপাশে কোনো শুকনো জায়গা নেই। শুধুমাত্র ঘরের মেঝেতে পানি ওঠেনি। তবে যেভাবে পানি বাড়ছে, তাতে রাতের মধ্যে ঘরে পানি ঢুকবে।
জানা গেছে, যমুনা নদীর পাশাপাশি বাঙ্গালী নদীর পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে। বাঙ্গালী নদীর পানি বৃদ্ধিতে মানুষ জন পানিবন্দী না হলেও সোনাতলা, সারিয়াকান্দি, গাবতলী, শেরপুর ও ধুনট উপজেলার নদী তীরবর্তী জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুপুর ১২টার সময় তা ছিল বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপরে। বাঙ্গালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রোববার বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান চরাঞ্চল পরিদর্শন করেছেন এবং বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।