বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে আম
দেশের বিভিন্ন জেলার মতো পঞ্চগড়েও শুরু হয়েছে আম চাষ। পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় সারি সারি আম বাগান। এখন সেসব বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে পরিপক্ব আম। গত বছরে শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ে আম চাষিদের লোকসান গুনতে হয়েছিল। কিন্তু চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া থাকায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলার পাঁচ উপজেলায় এক লাখ ৩৪৭ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। পঞ্চগড়ের বিভিন্ন বাগানগুলোতে ল্যাংড়া, ফজলি, হাঁড়িভাঙা ও আম্রপালি আম বেশি পাওয়া যায়। তবে উৎপাদন বেশি ও লাভজনক হওয়ায় চাষিরা আম্রপালি ও হাঁড়িভাঙা আম চাষের দিকে ঝুঁকছেন। পঞ্চগড়ের উৎপাদিত আম সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন আম বাগানে কাজ করছেন শ্রমিকরা। বাজারজাত করতে গাছ থেকে আম পাড়া হচ্ছে। আম বাগান করে চাষিরা যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি বেকারদেরও কর্মসংস্থান হচ্ছে।
আম বাগানে কর্মরত আবুল বাসার নামে এক শ্রমিক জানান, শ্রমিকরা আম বাগানে কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন।
জেলার সদর উপজেলার চাকলার হাট এলাকার সিদ্দিকী ফ্রুটস প্রজেক্টের মালিক মিজানুর রহমান সিদ্দিকী রঞ্জু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'আমার বাগানে এক হাজার আম গাছ রয়েছে। প্রথমবারের মতো ফল এসেছে। আম বিক্রি করে বেশি লাভের আশা করছি। ঢাকার পাইকারি ক্রেতাদের কাছে বাগান চুক্তি দিয়েছি।’
জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার আম চাষি শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘গত বছর আম চাষে লোকসান হলেও চলতি মৌসুমে আমের ভালো ফলন হয়েছে। এ বছর আবহাওয়াও অনুকূলে আছে।’
এ বিষয়ে আম ব্যবসায়ী শামীম হায়দার জানান, ঢাকা থেকে এখানে আম কিনতে এসেছেন তিনি। এখান থেকে আম কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠান। সারাদেশে পঞ্চগড়ে উৎপাদিত আমের চাহিদা থাকায় ব্যবসাও ভালো হয় তার।
পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হানিফ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'চলতি মৌসুমে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। পঞ্চগড়ের উৎপাদিত আম স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে। জেলার পাঁচ উপজেলার চাষিদের মাঝে আম চাষে আগ্রহ বাড়ছে। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের বিভিন্ন সেবা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’