টানা বর্ষণে পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বর্ষণে করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে আছেন জেলার সদর, তেঁতুলিয়া ও দেবীগঞ্জ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এদিকে, গত কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে মহানন্দা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়ায় নদীর পানি বাড়তে থাকে। এতে সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) আবহাওয়া অফিস জানায়, পঞ্চগড়সহ রংপুর বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জেলা শহরের পৌর এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডে, সদর উপজেলার ধাক্কামারা, কামাত কাজলদিঘী, চাকলার হাট, হাফিজাবাদ ও সদর ইউনিয়নে, তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন,তিরনই হাট,বাংলাবান্ধা ভজনপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামসহ আটোয়ারী ও দেবীগঞ্জ উপজেলার নদীর পাশ্ববর্তী বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সদরের চাকলার হাট ইউনিয়নের চা চাষি মিজানুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার ৮ বিঘা চা বাগানে নদীর পানি ঢুকছে। খুব আতঙ্কে আছি।’
আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর এলাকার নাজমুল হক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে বাড়িতে পানি ওঠায় পরিবার নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। গরু ছাগল নিয়ে পড়েছি চরম বিপাকে।’
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ঝড় ও বন্যায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই হাজার মানুষের মাঝে শুকনা খাবার ও ৫০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ত্রাণ ও অর্থ চেয়ে ঢাকায় ফ্যাক্স বার্তা পাঠানো হয়েছে।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘রোববার পর্যন্ত গত ৭ দিনে ৬৬৬.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজও (সোমবার) ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’