বান্দরবানে ঘরে ফিরছে বন্যার্তরা, বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তাটোয়েন্টিফোর. কম, বান্দরবান
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের বন্যা কবলিত এলাকা/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বান্দরবানের বন্যা কবলিত এলাকা/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে প্রধান সড়ক বন্যার পানিতে প্লাবিত থাকায় বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ চালু হয়নি সাতদিন পরও। বৃষ্টি বন্ধ হলেও সাঙ্গু নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সোমবার (১৫ জুলাই) প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ছেড়ে ঘরে ফিরছে দূর্গতরা। এদিকে বন্যার পানি নেমে গেলেও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দূর্ভোগ কমেনি মোটেও। ঘরবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাদা-মাটি, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে গিয়ে নতুন ভোগান্তিতে পড়েছে বন্যার্তরা। পরিষ্কার এবং বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে। এসব এলাকায় ময়লা-আবর্জনা দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ডায়রিয়া, সর্দি-কাশিসহ পানিবাহিত নানা ধরনের রোগ ছড়ানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের ৪১টি মেডিকলে টিম কাজ শুরু করেছে।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বান্দরবান সদরের আর্মিপাড়া, মেম্বারপাড়া, শেরে বাংলা নগর, ইসলামপুর, হাফেজঘোনা, বনানী সমিল, ফায়ার সার্ভিস এলাকা, বালাঘাটাসহ বন্যায় প্লাবতি এসব এলাকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে থেকে ফিরে আসছে। তারা ঘরবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ময়লা-আবর্জনা এবং কাদা-মাটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে। কেউ কেউ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ইলেকট্রিক সামগ্রি এবং আসবাবপত্র সরাচ্ছে। বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে যাওয়া ঘরবাড়ি মেরামতের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/15/1563198751831.jpg

বিজ্ঞাপন

বন্যায় ভূক্তভোগী আব্দুল মান্নান বলেন, বন্যায় ঘরবাড়ি সব ডুবে গিয়েছিলো। পানি নেমে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরেছি। কিন্তু ময়লা-আবর্জনা এবং কাদা-মাটির দূর্গন্ধে ঘরে ঢোকা যাচ্ছে না। পানির অভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের কাজও করতে পারছি না।

এদিকে বন্যা কবলিত আশপাশের এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। টিউবওয়েল, রিংওয়েলগুলো বন্যায় ডুবে যাওয়ায় খাবার পানির সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। কিন্তু প্রশাসন, পৌরসভা এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে কেউই আসেনি। ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে দূষিত পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলোতে রোগ ব্যাধি ছড়াচ্ছে। পানি বাহিত রোগ দেখা দিয়েছে মানুষজনের মধ্যে। 

জেলা সিভিল সার্জন ডা: অংসুই প্রু মারমা বলেন, বন্যায় কবলিত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকটে নানা ধরনরে রোগ ব্যাধি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারমধ্যে ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, পেটব্যথাসহ পানিবাহিত নানা ধরনের রোগ হতে পারে। তবে দূর্যোগ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের ৪১টি টিম কাজ করছে। প্লাবিত এলাকাগুলোতে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ প্রয়োজনীয় ঔষুধপত্র সরবরাহ করা হচ্ছে।