ইঁদুরের গর্ত, হুমকির মুখে যমুনার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

  • গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্বপাড়ের চরাঞ্চলের পানিবন্দী মানুষ। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্বপাড়ের চরাঞ্চলের পানিবন্দী মানুষ। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়ায় হুমকির মুখে পড়েছে যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ইঁদুরের গর্তের কারণে পশ্চিম পাড়ে পানি চুইয়ে পড়ছে। এতে যমুনা তীরবর্তী লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে আতঙ্কে বাঁধ সংলগ্ন পশ্চিম পাড়ের লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে শুরু করেছে।

অপরদিকে বাঁধের পূর্বপাড়ের চরাঞ্চলে পানিবন্দী লোকজনের দুর্ভোগ কমছে না। অনেকে বাড়ি ঘর ছেড়ে বাঁধের পূর্বপাড়ে আশ্রয় নিলেও এখন পর্যন্ত অসংখ্য মানুষ পানির মধ্যে মাচা বানিয়ে বসবাস করছে। ঘরে রাখা খাদ্যশস্য এবং গবাদি পশু হারানোর ভয়ে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/17/1563349963430.jpg

বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিন ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ২ সেন্টিমিটার।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপসহকারী প্রকৌশলী আসাদুল হক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, বগুড়ার তিন উপজেলায় যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে ৪৫ কিলোমিটার। সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা, ছাতিয়ানতলা, সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ও কামালপুর এবং ধুনট উপজেলার ভান্ডার বাড়ি, বানিয়াজান ও কৈয়াগাড়ি এলাকায় বাঁধের বিভিন্ন অংশ দিয়ে ১৬ জুলাই রাত থেকে পানি চোয়ানো শুরু হয়েছে।

তিনি জানান, ইঁদুরের অসংখ্য গর্ত থাকার পাশাপাশি প্রবল স্রোতের কারণে পানি চোয়ানো শুরু হয়েছে। পানি আটকানোর জন্য বুধবার সকাল থেকে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে বালুর বস্তা ফেলা শুরু হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ঝুঁকি মোকাবিলা করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। পুরো বাঁধ সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, বালুর বস্তা এবং জিও ব্যাগ দিয়ে পানি চোয়ানো বন্ধ করতে কাজ শুরু হয়েছে।