দৌলতদিয়ায় নদী পারের অপেক্ষায় হাজারো যানবাহন
রাজধানী ঢাকায় যাতায়াতের জন্য দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালে ওই ঘাট দিয়ে নদী পারের জন্য হাজারো যানবাহনের চালকদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও শ্রমিকরা। বিশেষ করে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নারী ও শিশুরা। ঘাট এলাকায় টয়লেট এবং পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা না থাকায় বেশি বিপাকে পড়েছে তারা।
জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে এই ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিনে সকাল ৯টায় দেখা যায়, দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ বাজার পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে হাজারের উপরে যানবাহন। যাত্রীবাহী বাসগুলোকে প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আর পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে মহাসড়কে দুইদিন এবং টার্মিনালে এক রাত অপেক্ষা করতে হচ্ছে নদী পারের জন্য।
সোহাগ পরিবহনের যাত্রী প্রান্ত বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় এখানে এসেছি। কেবলমাত্র ঘাটের কাছে আসলাম। কখন ফেরিতে উঠবো তা বলতে পারছি না।’
সাতক্ষীরা থেকে আসা ট্রাক চালক কুদ্দুস মিয়া জানান, ‘দুইদিন ধরে রাস্তায়ই পড়ে আছি। আরও কয়দিন থাকতে হয় সেটিই এখন ভাবছি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘এই নৌরুটে চলাচলরত ফেরিগুলোর ইঞ্জিন অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। ফেরিগুলোর বয়স অনেক। তাই নদীতে স্রোত বাড়লে ফেরিগুলো স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে না। বর্তমানে ১২টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করছি।’