শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কে হাঁটু পানি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, শেরপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধির ফলে শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পুরাতন ভাঙন অংশ দিয়ে পানি দ্রুতবেগে প্রবেশ করায় চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ১ মিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এতে শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কের পোড়ার দোকান কজওয়ের (ডাইভারশন) উপর দিয়ে প্রবলবেগে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয়রা হাঁটু পানি মাড়িয়ে ঝুঁকি নিয়ে ওই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছে।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/18/1563438434171.jpg

এদিকে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও যেকোনো সময় শেরপুর থেকে জামালপুর হয়ে রাজধানী ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা বলছেন, হঠাৎ করে গত রাত থেকে এই ডাইভারশনে পানি এসেছে। এতে আতঙ্কে আছেন তারা। যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে শেরপুর-জামালপুর রুটে যানবাহন চলাচল।

স্থানীয় রহমত আলী, মজিবর রহমান, খলিলুর রহমানসহ অনেকে জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তারা আতঙ্কে আছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/18/1563438456420.jpg

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘শুনেছি গতরাত থেকে ডাইভারশন দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে।’

এদিকে অবিরাম বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ৫ উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের ২ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী রয়েছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। এছাড়া পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৫২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৫ দিনে বন্যার পানিতে ডুবে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।