পানির নিচে ফসলি জমি, দাম বেড়েছে সবজির

  • গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েস্টিফোর.কম, বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তলিয়ে যাওয়া ফসলি মাঠে মাথা বের করে আছে পাট গাছ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

তলিয়ে যাওয়া ফসলি মাঠে মাথা বের করে আছে পাট গাছ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

গত কয়েক দিনে যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে তলিয়ে গেছে বগুড়ার ফসলি জমি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং কাঁচা মরিচের জমি। এতে বাজারে সবজির দাম বেড়েছে কয়েকগুণ।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ শুধু পানি আর পানি। তবে দু-এক জায়গায় মাথা বের করে থাকা পাট গাছ দেখে বোঝা যায় যে, এটি ফসলের মাঠ।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে- পূর্ব বগুড়ার গাবতলী, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলায় প্রচুর পরিমাণ সবজি ও মরিচ চাষ হয়ে থাকে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর ওই সবজি শহরে বিক্রি হয়। কিন্তু বন্যায় পূর্ব বগুড়ার সবজি শহরে আসছে না। এ কারণে গত কয়েকদিনে সবজির দাম বেড়েছ কয়েকগুণ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/18/1563454852700.jpg

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার বগুড়ার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, কচুর মুখি ৫০ টাকা,করলা ৬০ টাকা,কাকরোল ৬০ টাকা, ঢেড়শ ৬০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, মিষ্টি লাউ ৩০ টাকা, পুইশাক ২০ টাকা, লাল শাক ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণত এ সময় সবজির দাম হতো এর অর্ধেক।

জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী- বন্যা কবলিত সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলায় ৮ হাজর ৯৭৮ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে আউশ ধান, বিভিন্ন ধরনের সবজি, মরিচ, আমন বীজতলা ও আখ।

এদিকে, বাঙ্গালী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় ফসলি জমির পাশাপাশি ওই তিন উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষগুলো পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

অন্যদিকে, যমুনা নদীর পানিও বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত পানি বিপদসীমার ১২৭ সেন্টিমটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আগামী শনিবার (২০ জুলাই) পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এরপর পানি কমতে শুরু করবে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বন্যা দুর্গত এলাকায় ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে এবং ৩৩৭ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বিতরণের জন্য। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে অতিরিক্ত ত্রাণের জন্য স্থানীয়ভাবে সারিয়াকান্দিতে ৫ লাখ, সোনাতলায় ২ লাখ এবং ধুনটে ১ লাখ টাকার শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’