বিধবা ও কলেজ ছাত্রকে পেটানোর অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আহত কলেজ ছাত্র সাফায়াত উল্লাহ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আহত কলেজ ছাত্র সাফায়াত উল্লাহ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলে নিতে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধবা আমেনা বেগমকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় বিধবাকে বাঁচাতে গেলে সাফায়াত উল্লাহ নামে এক কলেজ ছাত্রকেও পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাতে ওই ছাত্র সাংবাদিকদের কাছে স্কুল শিক্ষক বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে উপজেলার কাশিমনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

বিধবা আমেনা ওই গ্রামের মালের বাড়ির মৃত আানোয়ার উল্লাহ স্ত্রী। সাফায়াত একই বাড়ির মৃত হারুনুর রশিদ ছেলে ও রামগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্র।

বিজ্ঞাপন

অভিযুক্ত বাহাউদ্দিন উপজেলার কেএম ইউনাইটেড একাডেমির প্রধান শিক্ষক।

অভিযোগে বলা হয়, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে আমেনা বেগমের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারা করছে তার দেবর বাহাউদ্দিন ও সহিদুল্লাহ। ঘটনার সময় আমেনা গাছ থেকে নারিকেল পাড়ছিলেন। এসময় বাহাউদ্দিনরা গিয়ে বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বাহাউদ্দিন, সহিদুল্লাহ ও তার ছেলে মো. রিপন এবং নাজমুল আলম আরমান ক্ষিপ্ত হয়ে আমেনাকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়। তাকে বাঁচাতে গেলে কলেজ ছাত্র সাফায়াতকেও পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া হয়। এসময় তার মাথায় গুরুতর জখম হয়।

এ ব্যাপারে আমেনা বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে বাহাউদ্দিনরা জোরপূর্বক সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করছে। নারিকেল পাড়তে গেলে তারা আমাকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়। আমি এ ঘটনায় মামলা করবো।

অভিযোগ অস্বীকার করে বাহাউদ্দিন বলেন, মারামারির ঘটনা আমি শুনেছি। তবে ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমাকে কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।