চা চারার দাম কম, লোকসানের আশঙ্কা
চা চারার দাম কম হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন পঞ্চগড়ের চা নার্সারি মালিকরা। ফলে চরম হতাশায় দিন কাটছে তাদের।
জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট ও বড় অনেক চা চারার নার্সারি গড়ে উঠেছে। চায়ের কুড়ি রোপণের ১১-১২ মাস পর বিক্রির উপযোগী হয় এসব চারা। নার্সারি করে অনেকই স্বাবলম্বী হলেও বর্তমানে দাম একেবারে কম। ফলে লাভতো দূরের কথা খরচের টাকাও উঠবে না বলে আশঙ্কা করছেন নার্সারি মালিকরা।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে নার্সারিতে পানি প্রবেশ করায় বিপাকে পড়েছেন অনেকে। কারণ ইতোমধ্যে পানিতে চারার সমস্যা দেখা দিয়েছি।
জেলা চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড়রে উৎপাদিত চার চাহিদা কম ও নিম্নমানের হওয়ায় চারা বিক্রির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কারণ চা পাতার দাম ২৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে ১৬ টাকা ৮০ পয়সায় নেমে এসেছে। ফলে ক্ষুদ্র চা চাষিরা বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে জেলার সদর উপজেলাধীন চাকলার হাট এলাকার সিদ্দিকী টি স্টেটের মালিক মিজানর সিদ্দিকী রঞ্জু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'আমি চলতি মৌসুমে নার্সারিতে দুই লাখ চারা তৈরি করেছি। কিন্তু যে চারার দাম ছিল ৩০ টাকা ছিল, সেই চারা ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে অনেক লোকসানে পড়েছি।'
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের নার্সারি মালিক হায়দার আলী মোল্লা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'চা চারার দাম কমে যাওয়ায় আমরা চরম হতাশ। খরচের টাকা ওঠা নিয়েও আমরা শঙ্কায় আছি।'
এ বিষয়ে পঞ্চগড় চা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. শামীম আল মামুন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'চা চারার দামের বিষয়টি পুরোপুরি মুক্ত বাজারের ওপর নির্ভর করে। চায়ের দাম কম হওয়ায় প্রভাব পড়েছে চারা বিক্রির ওপর। তবে পঞ্চগড়ের নার্সারিতে উৎপাদিত চায়ের চারা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলায়ও পাঠানো হয়।'