চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ পৌর এলাকা অচল, সড়কে ময়লার স্তূপ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পৌর এলাকায় ময়লার স্তূপ। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পৌর এলাকায় ময়লার স্তূপ। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধর্মঘটের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চার পৌর এলাকার নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতনভাতা ও পেনশনের দাবিতে গত এক সপ্তাহ ধরে সব ধরনের কাজ বন্ধ রেখেছে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ কারণে পৌর এলাকাগুলো থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কের ধারে ময়লার স্তূপ জমা পড়েছে। কোথাও কোথাও পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া রাতে জ্বলছে না সড়ক বাতিগুলোও। পৌরসভা থেকে নাগরিক সনদ, জন্ম সনদ, মৃত্যু সনদ, ট্রেড লাইসেন্স তুলতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েছে শত শত মানুষ।

বিজ্ঞাপন

এদিকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন দপ্তরের রুমে ঝুলছে তালা। দু-একটি রুম খোলা থাকলেও কোনো কার্যক্রম নেই। আন্দোলনে অংশ নিতে কর্মচারীদের মধ্যে অধিকাংশই এখন রয়েছে ঢাকায়। আন্দোলনের অংশ হিসেবে সব ধরনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

বিজ্ঞাপন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার হুজরাপুরের মামুনুর রশিদ জানান, তার ছেলের জন্মনিবন্ধন কার্ড সংশোধন করা প্রয়োজন। অথচ তিনি চারদিন ঘুরেও তা তুলতে পারেননি। সন্ধ্যার পর সড়কে বাতি জ্বলে না। যেন পুরো পৌর এলাকা অচল হয়ে গেছে।

আরামবাগের গৃহিণী সুলতানা বেগম জানান, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। বাড়ির সামনের রাস্তায় ময়লার স্তূপ জমা পড়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর কবীর জানান, কর্মচারীরা কাজে না আসায় তারাও কাজ করতে পারছেন না।

একই অবস্থা বিরাজ করছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অন্য তিন পৌরসভা শিবগঞ্জ, রহনপুর ও নাচোলে। সেখানেও কাজকর্ম বর্জন করে আন্দোলন করছেন পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তরিকুল ইসলাম জানান, জনগণের কিছুটা দুর্ভোগ হলেও বাধ্য হয়েই তারা আন্দোলন করছেন।

তিনি জানান, কোনো কোনো পৌরসভার কর্মচারীদের বেতন-ভাতা তিন মাস থেকে তিনবছরের মতো বকেয়া। এ জন্য তারা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতনভাতা ও পেনশনের দাবি করছেন। মূলত এ কারণেই ধর্মঘট চলছে। জনগণের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেন তিনি।