সেতু নির্মাণের এক মাসেই ফাটল, খসে পড়ছে পাথর-সিমেন্ট

  • আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পাবনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

পাবনার চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীদাস খালী-রাউৎকান্দি রাস্তার ওপর নির্মিত সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছে। যদিও এক মাস আগে প্রায় ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। ফাটল দেখা দেওয়ায় সেতুর রড ও রেলিং থেকে খসে পড়ছে পাথর ও সিমেন্ট।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়মের কারণেই এমনটি হয়েছে। তবে ঠিকাদারের দাবি, কাজ শেষে দ্রুত মাটি ভরাট করায় কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, কয়েকদিন আগে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান সেতুর ফাটলের ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করেন। এরপরই বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ব্রিজ/কালভার্ট শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়। যার ব্যয় ধরা হয় ২৫ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৯ টাকা। ৩২ ফুট দৈর্ঘ্যের ওই সেতু নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাজেদা অ্যান্ড আতাহার। কিন্তু কাজটি সাব কন্ট্রাক্ট হিসেবে পাবনার চাটমোহরের স্থানীয় ঠিকাদার সিরাজুল ইসলামকে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/23/1563881038833.jpg

জানা গেছে, নির্মাণের শুরুতে এলাকাবাসী নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তোলে। কিন্তু ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় অল্প দিনে কাজটি সম্পন্ন করা হয়। অথচ নির্মাণের একমাসের মাথায় সেতুর বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়। এছাড়া সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কে মাটি না দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে জানতে মূল ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে সাব কন্ট্রাক্টের ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ইতোমধ্যেই পিআইওকে সঙ্গে নিয়ে সেতুটি দেখে এসেছি। পিআইও ঢাকার প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ ঠিক না।’

তিনি আরও বলেন, ‘জুন মাসে ক্লোজিংয়ে বিল ছাড় করানোর জন্য তড়িঘড়ি করে মাটি ভরাট করা হয়। ফলে সেতুর কিছু স্থানে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে স্থানীয়রা ষড়যন্ত্র করে হাতুড়ি পিটিয়ে সেতুর রেলিং ভেঙে দিয়েছে। শিগগিরই ত্রুটিপূর্ণ অংশ মেরামত করে দেওয়া হবে।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম শামীম এহসান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, স্থানীয় ঠিকাদার ত্রুটিপূর্ণ স্থানগুলো মেরামত করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।