বেনাপোলে ২০০ কেজি ভায়াগ্রা আটক
বেনাপোল বন্দরে অবৈধভাবে আমদানিকৃত ২০০ কেজি ভায়াগ্রার একটি চালান আটক করেছে কাস্টমস সদস্যরা। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা বা কেউ আটক হয়নি।
বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১টায় ভায়াগ্রা আটকের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল চালানটি পরীক্ষার জন্য বেনাপোল বন্দর থেকে একটি বাংলাদেশি ট্রাকসহ কাস্টমস সদস্যরা আটক করেন।
অভিযুক্ত আমদানিকারকটি হলো, ঢাকার কলাবাগানের ক্রিসেন্ট রোডের ১৫৩/৩ কাঁঠালবাগান এলাকার রেড গ্রীন ইন্টারন্যাশনাল। অবৈধ আমদানিতে সহযোগী ছিলো সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান বেনাপোলের আহাদ এন্টারপ্রাইজ।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, একটি অসাধু চক্র অবাধে ভারত থেকে আমদানি যোগ্য পণ্যের আড়ালে ভায়াগ্রা নিয়ে যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস সদস্যরা ওই আমদানিকারকে নজরদারিতে রাখে। পরে ওই আমদানি কারক ফ্লেভার ঘোষণায় একটি পণ্য চালান আমদানি করে ছাড় নেওয়ার সময় চালানটি জব্দ করা হয়। আড়াই মাস পর দায়িত্বশীল বিভিন্ন দফতরে পণ্যের নমুনা পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যায় আমদানিকৃত ২০০ কেজি পাউডারটি ভায়াগ্রা।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, এমন অনেক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আছে যারা এভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবাধে আমদানি যোগ্য পণ্যও পাচার করছে। এসব ব্যবসায়ীদের সাথে কাস্টমসের অনেক কর্মকর্তাদের সম্পর্ক রয়েছে। অবৈধ ভাবে আমদানিতে সহযোগিতা করে তারাও হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। এতে সরকারও শতশত কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
গত ৫ বছর ধরে বেনাপোল বন্দরে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আসছে না। মাঝে মধ্যে ২/১টি চালান আটক হলেও অধিকাংশ থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলেও সহযোগী কাস্টমস সদস্যরা থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এতে কোন ভাবেই রোধ হচ্ছেনা অবৈধ ভাবে আমদানি।
বেনাপোল কাস্টমসের সহকারি কমিশনার দিপারানী হালদার ভায়াগ্রা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ অপরাধের জন্য ইতোমধ্যে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আহাদ এন্টার প্রাইজের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। জালিয়াতি ও অবৈধ পণ্য সুকৌশলে আমদানি অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনের পর দোষীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়া হবে।