পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত রুমা সড়ক ১১ দিন পর চালু

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তাটোয়েন্টিফোর. কম, বান্দরবান
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বান্দরবানের পর্যটনের সম্ভাবনাময় রুমা উপজেলা সড়ক।

প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বান্দরবানের পর্যটনের সম্ভাবনাময় রুমা উপজেলা সড়ক।

প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বান্দরবানের পর্যটনের সম্ভাবনাময় রুমা উপজেলা সড়ক যোগাযোগ ১১দিন পর চালু হয়েছে। বিধস্ত সড়কটি মোটামুটি সংস্কারের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দিয়েছে সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটেলিয়ান।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) বিকাল থেকে চারটি ক্ষতিগ্রস্ত স্থানের পাশ্ববর্তী বিকল্প রাস্তা দিয়ে রুমা সড়কে সবধরণের যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি দিয়ে ৩ টনের অধিক ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে ২০ ইসিবি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

সড়ক জনপথ বিভাগ ও সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটেলিয়ান সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক বন্যা-পাহাড় ধস এবং পাহাড়ি ঢলে রুমা সড়কের ওয়াইজংশন থেকে রুমা বাজার পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সড়কটির ক্ষতিগ্রস্ত ১৯টি স্থানের মধ্যে ১৫টি আংশিক ক্ষতি এবং ৪টি স্থানে সড়কটি সম্পূর্ণ ধসে গেছে। সড়কটিতে ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে গত ১৪ জুলাই থেকে রুমা উপজেলা সড়কে সবধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কটি মেরামতের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটেলিয়ানের সদস্যদের প্রচেষ্টায় ১১দিন পর রুমা সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।

সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটেলিয়ানের কর্মকর্তা লে: কর্নেল রোমিও বলেন, সড়কটি সম্পূর্ণ ঠিক করতে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগবে। কিন্তু, মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সম্পূর্ণ ধসে যাওয়া চারটি স্থানে পাহাড় কেটে সাময়িকভাবে বিকল্প সড়ক তৈরি করে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রো, জীপ-সিএনজি’সহ সবধরণের যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র রুমা সড়কে ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।  সড়কটি প্রায় চল্লিশ বছরের পুরনো। বান্দরবান থেকে চিম্বুক এবং ওয়াইজংশন থেকে রুমা সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রীজগুলো বাতিল করে আরসিসি ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে বাজেট প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছে।