পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেই ডেঙ্গু পরীক্ষার সুযোগ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পটুয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

পটুয়াখালীতে প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ১৬ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১০ জন ডেঙ্গু রোগী।

তবে এই হাসপাতালে ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া রোগ শনাক্তের সুযোগ নেই। ফলে বাইরে থেকে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকেই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হচ্ছে।

পটুয়াখালীতে প্রথমবারের মতো হঠাৎ ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। 

বিজ্ঞাপন

ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তরা হলেন- সদর উপজেলার ভুড়িয়া এলাকার সুভাষ বিশ্বাসের ছেলে সুব্রত বিশ্বাস (১৮), সদর উপজেলার জৈনকাঠী এলাকার মোতালেব হাওলাদারের ছেলে রিয়াজ (২০), দুমকী উপজেলার বাসিন্দা কাঞ্চন প্যাদার ছেলে দেলোয়ার (৪০), বাউফলের কার্তিক পাশা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান শরীফের ছেলে এনামুল হক (৪৪), সদর উপজেলার মৌকরন এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেমের ছেলে সোহাগ কবির (৩৪), বাউফলের ভায়লা এলাকার বাসিন্দা রহিম খানের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান (৫৫), শহরের কলাতলা এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম ফকিরের ছেলে রাকিবুল হাসান (২৭)। এছাড়া ঢাকা থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আসেন সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা খালেদা খালেক প্যাদার স্ত্রী আম্বিয়া বেগম (৬০), টাউন কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দা চেরাগ আলী আকনের ছেলে আনিসুর রহমান (৫৫)।

পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. অনিন্দ দাস গুপ্ত জানান, ডেঙ্গু হলে সকল ধরনের ব্যথার ওষুধ বন্ধ। এ রোগের মূল চিকিৎসা হলো পানি। এ পর্যন্ত হাসপাতালে ১০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, ডেঙ্গু নিশ্চিত হওয়ার ক্ষেত্রে রক্তের তিনটি পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে সিবিসি ও প্লাটিলেট পরীক্ষার ব্যবস্থা হাসপাতালে আছে। কিন্তু কিট এবং রিএজেন্ট সরবরাহ না থাকার কারণে এনএসওয়ান পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। রোগীরা বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে পরীক্ষাটি করাচ্ছেন।

পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন আহমেদ বিশ্বাস জানান, ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় রিএজেন্ট চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন পাঠানো হয়েছে।