হত্যার প্রতিশোধ নিতে ভেঙে দিয়েছে আসামির হাত-পা
হত্যার প্রতিশোধ নিতে আসামি আনোয়ার হোসেন শাহীনকে (৪০) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ভোররাতে ওই আসামিকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আসামি শাহীন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ চেচুয়া পাড়া গ্রামের শামছুল হকের ছেলে। তিনি একই গ্রামের হায়দার হত্যা মামলার আসামি। হায়দারের স্বজনরা ওই আসামির হাত-পা ভেঙে দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ২০১২ সালে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে চেচুয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল আলীমের ভাতিজা হায়দার খুন হন। সেই খুনের মামলার বাদী আব্দুল আলীমের আরেক ভাই আব্দুল গফুর। আসামিদের মধ্যে শাহীন একজন। তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলহাজতে ছিলেন। সম্প্রতি শাহীন জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়িতেই বসবাস করছিলেন।
জানা গেছে, বুধবার রাত ১২টার দিকে প্রতিবেশী কয়েকজন শাহীনের বাড়িতে যায়। পরে তারা পাওয়ার টিলার মেরামত করার কথা বলে শাহীনকে স্থানীয় আব্দুল আলীমের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে আটকে রেখে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুই পা এবং এক হাত ভেঙে দেয়।
এদিকে শাহীনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানায় তার পরিবার। পুলিশ ওই প্রতিবেশীদের বাড়িতে গেলে তারা জানায় গ্রামে ডাকাত হানা দিয়েছিল। গ্রামের লোকজন চিৎকার দিলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
পুলিশ তাদের কথা বিশ্বাস না করে আব্দুল আলীমের বাড়িতে গেলে তাদের ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পায়। পরে ঘরের জানালা ভেঙে রাত ৩টার সময় শাহীনকে হাত-পা ভাঙা অবস্থায় উদ্ধার করে। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আব্দুল আলীমের ভাতিজা নুর ইসলাম টিপু ও হাফিজার রহমান নামে ২ জনকে গ্রেফতার করে।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবীর জানান, রাতে আব্দুল আলীমের বাড়ি থেকে শাহীনকে হাত-পা ভাঙা অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি হায়দার হত্যা মামলার আসামি। ধারণা করা হচ্ছে হত্যার প্রতিশোধ নিতে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাতেই দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।