সন্তানকে শহরে পড়ানোর অন্তরালে ফেনসিডিল ব্যবসা
সন্তানকে শহরের স্কুলে লেখাপড়া করানোর জন্য বাসা ভাড়া নিয়ে একা বসবাস করতেন সৈয়দা ফারহা সোনিয়া। তার স্বামীর বাড়ি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়ায়। স্বামী মমিনুল হক শহীদ মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। তারপর থেকেই সোনিয়া বগুড়া শহরের মালগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় থাকেন।
বাড়ির মালিক রওশন সরল বিশ্বাসে সোনিয়াকে বাসাভাড়া দিয়েছিলেন। কিন্তু সন্তানকে স্কুলে পড়ানোর অন্তরালে সোনিয়া ফেনসিডিলের ব্যবসা করছিলেন। তবে বোঝার উপায় ছিল না যে সোনিয়া একজন মাদক ব্যবসায়ী।
বুধবার (৩১ জুলাই) রাতে ৬০ বোতল ফেনসিডিলসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সোনিয়া। এরপর সোনিয়ার মুখোশ উন্মোচন হয়।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, বুধবার রাতে শহরের কালিতলা এলাকা থেকে লালচাঁন নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোনিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় ৬০ বোতল ফেনসিডিলও উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত লালচাঁন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার ঢুলিপাড়ার আয়নাল হকের ছেলে। লালচাঁন চাঁপাই সীমান্ত থেকে ফেনসিডিল এনে সোনিয়াকে সরবরাহ করতেন। সোনিয়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সেই ফেনসিডিল খুচরা বিক্রি করতেন। সোনিয়া তার সন্তানকে শহরের স্কুলে পড়ানোর নামে বাসায় একা বসবাস করতেন। এ কারণে কেউ তাকে সন্দেহের চোখে দেখত না। ওই দুইজনের নামে থানায় মামলা হয়েছে।