বগুড়ায় উদ্ধারকৃত সাপটি বিরল প্রজাতির বেবি পাইথন
বগুড়ায় উদ্ধারকৃত সাপটি অজগর সাপ নয়, এটি বিরল প্রজাতির একটি সাপ। বাংলাদেশে এই সাপের বিচরণক্ষেত্র নেই বললেই চলে। এটি বালুুময় নদী এলাকায় বাস করে।
বন্যপ্রাণি গবেষকরা সাপটির ছবি দেখে নিশ্চিত করেছেন- অজগরের মতো দেখতে হলেও সেটি আসলে বালুবোরা বা বেবি পাইথন। সাধারণত ইউরোপ, মধ্যপাচ্য, পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় এ সাপটির দেখা পাওয়া যায়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞ ড. মনিরুল এইচ খান সাপটিকে বাংলাদেশে দেখা ৬ষ্ট রেকর্ড বলে উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. আলি রেজা খান সুন্দরবন ও যমুনা নদী এলাকায় এর উপস্থিতির সম্ভবনার কথা জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘তীর’ এর উপদেষ্টা সরকারি আজিজুল হক কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক আরিফুর রহমান বার্তা টোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘যতটুকু জানা যায় বাংলাদেশে এটি বিরল প্রজাতি, কিভাবে এটি ওই এলাকায় এলো নাকি পূর্ব থেকেই ছিল তা নিয়ে গবেষণা কিংবা গভীর পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।’
তীর’র সভাপতি আরাফাত রহমান জানান, সাপটির পেটে দুই জায়গায় জখম রয়েছে। আহত হওয়ায় আপাতত সেটি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি চিকিৎসক ড. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফের পরামর্শ অনুসারে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই সাপ ডিমের পরিরবর্তে বাচ্চা প্রসব করে। সাধারণত নিশাচর প্রকৃতির হলেও দিনেও চলাচল ও শিকার করে। এটি নির্বিষ সাপ ও শান্ত স্বভাবের। তাই এটি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। সাপটি সুস্থ হলে প্রকৃতিতে মুক্ত করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বগুড়া সদরের শেখেরকোলা ইউনিয়নের মহিষবাথান গ্রামে পটল ক্ষেতে সাপটি আটক করে স্থানীয় কৃষক বকুল হোসেন। গ্রামবাসী সাপটি মেরে ফেলতে উদ্যত্ব হলে শেখের কোলা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ডালিম সাপটি উদ্ধার করেন। পরে রাতেই সাপটি পরিবেশবাদী সংগঠন তীর’র কাছে হস্তান্তর করায়। সংস্থাটির কর্মীরা সাপটির ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সাপ গবেষকদের পাঠিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন।