সিভিল সার্জনের অফিসের সামনে জলাবদ্ধতা!
নারায়ণগঞ্জে আদালতপাড়া এলাকায় অবস্থিত স্বাস্থ্য বিভাগ অর্থাৎ জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনেই বিরাজ করছে জলাবদ্ধতা, অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। যেখানে রয়েছে দুইটি আদালতসহ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনসহ সরকারি সাতটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের জেলা কার্যালয়। বৃষ্টির পানি জমে সেখানে মশার আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, গত এক মাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে একজন নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে আর অপর দুইজন রাজধানীর দুইটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। যে কারণে সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও বিরাজ করছে ডেঙ্গু আতঙ্ক।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেছনের দিকে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সামনে দেখা যায়, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। পাশেই অবস্থিত গণপূর্তের অফিসের সামনেও জলাবদ্ধতা।
পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনের বাসভবনের সামনে পানি না মাড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর আশেপাশের পরিবেশের এমন দশায় ডেঙ্গু আতঙ্ক নিয়ে কাজ করছেন কর্মচারীরা।
গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা সোলাইমান বলেন, ‘আমাদের অফিসের সামনেই সবচেয়ে বেশি পানি জমে থাকে। ইট বিছিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বর্ষা মৌসুম তাই, এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থাকায় অফিসে অ্যারোসল (মশা মারার ওষুধ) দিয়ে রাখি।’
এই এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলো হচ্ছে- নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কার্যালয় ও জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়।
এছাড়াও রয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতির নির্মাণাধীন কার্যালয়। রয়েছে সার্কিট হাউস, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন ও গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীর বাসভবন।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ ইমতিয়াজ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘ড্রেনগুলোতে নোংরা পানি জমে থাকা ও জলাবদ্ধতার বিষয়ে আমাদের কিছু করণীয় নেই। জেলা আইনজীবী সমিতির ভবন নির্মাণের পাইলিংয়ের মাটিতে ড্রেন ভরে গিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি আরেকটি ড্রেন নির্মাণ করে দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।’