বন্যায় সিরাজগঞ্জে ৮৫ হাজার ৫৫০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বন্যার সময়কার ছবি

বন্যার সময়কার ছবি

মাত্র তিন সপ্তাহের বন্যা ও নদীভাঙনে সিরাজগঞ্জের ৪০৮ গ্রামের ৮৫ হাজার ৫৫০টি পরিবার বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৯ পরিবার সম্পূর্ণ ও ৮২ হাজার ৪৭১টি পরিবার আংশিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জেলার কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরসহ ৫টি উপজেলার ৪১টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। দু’দফা বন্যায় ১৫ হাজার ৪৩৪ জন সম্পূর্ণ ও ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৯৭ জন মানুষ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে ৫ জন। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির সংখ্যা মোট ৫০ হাজার ৫১৮টি। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ৬ হাজার ৫০৫ এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ৪৪ হাজার ১৩টি।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/02/1564752149210.jpg

বন্যার পানিতে ডুবে ও বিভিন্ন রোগে মারা গেছে ৪টি গবাদি পশু ও ৩ হাজার ৮৮৫টি হাঁস-মুরগি। ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে, আংশিক ক্ষতি হয়েছে আরও ২৫৬টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৫৬ কিলোমিটার পাকা ও কাঁচা সড়ক সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। আংশিক নষ্ট হয়েছে আরও ১৮০ কিলোমিটার সড়ক।

বিজ্ঞাপন

অধিকাংশ কাঁচা ও পাকা রাস্তা এখনো বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। এসব সড়কের ২৯টি ব্রিজ ও কালভার্টও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও জেলার ২১ হাজার হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে ডুবে যায়। প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল সম্পূর্ণ ও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় প্রায় ১৪৩ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও জেলার প্রায় দশ হাজার তাঁত নষ্ট হয়ে গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/02/1564752159811.jpg

জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ জানান, যমুনার পানি কমতে শুরু করায় বন্যার পানি বসতভিটা থেকে নামতে শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ও পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে।