বন্যা কবলিতরা বিধ্বস্ত ঘরবাড়িতে ফিরছে
বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে। তবে রেখে যাচ্ছে ক্ষতচিহ্ন। আর সেই ক্ষতচিহ্নে ভুগছে বন্যা কবলিতরা। ইতোমধ্যে বন্যার ক্ষতচিহ্নে থাকা বিধ্বস্ত ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। কিন্তু ঘর-আসবাবপত্রের ক্ষয়ক্ষতি দেখে হতাশ হচ্ছে তারা। ক্ষতির ধকল সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
একদিকে আয় রোজগার নেই, অন্যদিকে ফসলহানি সবমিলিয়ে দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়েছে বন্যা কবলিতরা। এ অবস্থায় সরকারের সহায়তা কামনা করেছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
জানা যায়, চলতি বছর সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৪১টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। বন্যা ও ভাঙনে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো সবাই নিম্ন আয় পরিবারের। অর্থ না থাকায় ঘর মেরামত করতে পারছে না তারা। তাই ভাঙা ঘরেই পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতে হচ্ছে।
পাশাপাশি কৃষি নির্ভরশীল ওই মানুষগুলোর চাষ করা ধান, পাট, আখ ও শাক-সবজি বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে তারা আরও বেশি বিপাকে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদরের খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের শিকদার বাড়ি এলাকার আফজাল, মজনু, আয়নুল, হামিদা খাতুন জানান, বন্যার কারণে ফসল নষ্ট হয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া ভাঙা ঘরে রাত যাপন করতে হচ্ছে। ঘর মেরামত করার টাকা নেই। এ অবস্থায় বেঁচে থাকা কষ্টকর।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ও পরিবারের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রক্রিয়া চলছে।