যশোরে ঘোষণা দিয়ে বড়ভাইকে খুন করলো ছোটভাই
যশোরের মণিরামপুরে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে বড়ভাই মকবুল গাজীকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে আপন সহোদর।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দেবিদাসপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মকবুল গাজী ওই গ্রামের মৃত মকছেদ গাজীর ছেলে। ঘাতক ছোটভাই মফুজার পেশায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক, বর্তমানে পলাতক।
নিহতের স্ত্রী কোহিনূর বেগম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, প্রায় একযুগ ধরে শরিকের সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে গোলযোগ চলে আসছিল। সেই বিরোধ নিয়ে প্রায়ই দেবর মফুজার আমার স্বামীকে খুনের হুমকি দিতো। এমনকি, সম্প্রতি ওই জমির গাছ বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রকাশ্যে বড় ভাইকে জবাইয়ের ঘোষণা দিয়ে উঠানে বসে হাসুয়ায় (ধারালো অস্ত্র) বালি দিয়ে ধার দিতে শুরু করে। তখনও বিশ্বাস হয়নি, সত্যিই সে খুন করবে। একপর্যায়ে, বাড়ির পাশের দোকানে বসে থাকা আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় মফুজার পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, নিহত মকবুল গাজীর মা নাছিরন বেগম ছেলে হানানোর শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। তিনি বিলাপ করে বলছেন, কয়দিন আগে মফু (ঘাতক ছোট ছেলে) আমারে ঘরে ঘুমতি দেবে না বলে বালিশ-কাঁথা বাগানে ফেলে দেয়। আজ বড় ছেলেডারে কুপায়ে খুন করলো। আমি এই ছেলের বিচার চাই।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অনুপ কুমার বসু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করছি, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও নিহতের বাম বাহু ও বুকের বাম পাশে দুটি ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে আমি ছাড়াও সহকারি পুলিশ সুপার রাকিব হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ আসামি ধরতে অভিযান শুরু করেছে।