সিরাজগঞ্জে মহাসড়কে রাতে যানজট, দিনে থেমে থেমে
ছোট-ছোট দুর্ঘটনা ও সরু-ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর কারণে মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট দেখা দিয়েছে। ভোগান্তিতে পড়ছে ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীরা। এমন চিত্র সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু পশ্চিমপাড়ের কাশেম বাজার থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার এলাকার চিত্র। এছাড়াও যানবাহনের চাপ বাড়ায় গাড়ির বাম্পার টু বাম্পার লেগে কচ্ছপ গতিতে চলছে। মহাসড়কে শুক্রবার রাত ১১টা থেকে যানজট থাকলেও শনিবার সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট কম দেখা যায়। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো বিড়ম্বনা ও অস্বস্তির রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে ঘরে ফিরতে হচ্ছে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থেকে কাশেম বাজার পর্যন্ত যানজট মুক্ত থাকলেও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় যানবহন বিভিন্ন সড়কে ভাগ করে দিতে সময় লাগায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে মহাসড়কের নলকা ও অ্যারিস্ট্রোক্রেট মোড়ে ঝুঁকিপূর্ণ দুটি সেতু রয়েছে। প্রতিটি গাড়িকে সেতুর উপর ধীর গতিতে চালাতে হচ্ছে। এছাড়াও মহাসড়কের ছোট ছোট দুর্ঘটনার কারণে দুপাশের গাড়ি বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানযট সৃষ্টি হচ্ছে। এক-থেকে দুমিনিট গাড়ি দাঁড়ালে দেখা যায় প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় গাড়ির দীর্ঘ সারি হয়ে যায়। আর এ কারণে মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আর যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ সহিদ আলম জানান, থেমে থেমে যানজট দেখা দিলেও তা স্থায়ী হয়নি। ১০-১৫ মিনিট পর গাড়ি চলাচল করেছে। গাড়ির অতিরিক্ত চাপ হওয়ায় সামান্য সময়ের জন্য যদি একটি গাড়ি রাস্তায় দাঁড়ায় বা বিকল হয় তাতে তৈরি হচ্ছে গাড়ির দীর্ঘ লাইন।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তারুজ্জামান জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ থাকায় রাতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে যানজট কমে গেছে। তবে হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে রাজশাহী, বগুড়া ও পাবনাগামী মহাসড়কে যানজট নেই। কিন্তু মাঝে মাঝে যানবাহন ধীর গতির মুখে পড়ছে।
বগুড়া হাইওয়ে অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.শহিদুল্লাহ জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে নলকা ও অ্যারিস্ট্রোক্রেট মোড়ের দুটি ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর কারণে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি দেখা যায়। তবে পুলিশ-র্যাব যানজন নিরসনের পাশাপাশি ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ যেন কোন ভোগান্তিতে না পড়ে সে জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।