বগুড়ায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ধীরগতি
বগুড়া শহরে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে ধীরগতিতে। শহরের অলিগতিতে যত্রতত্র পশুর বর্জ ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরে থাকলেও পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা তা অপসারণ করছেন না।
পৌর কর্তৃপক্ষ ঈদের দিন তাদের নিজস্ব আড়াইশ পরিচ্ছন্ন কর্মীকে মাঠে নামাতে পারেনি। মহল্লা ভিত্তিক সংগঠন সিবিও কর্মীরা ঈদের দিন সকাল থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে রাখেন। এরপর ২৪ ঘণ্টা পার হলেও বর্জ্য সেখানেই পরে থাকতে দেখা গেছে।
অবশ্য পৌর মেয়রের দাবি ঈদের দিন থেকেই তাদের পরিছন্ন কর্মীরা কাজ করছেন এবং মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যার আগেই শহরের সকল বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত শহরের ৪০ ভাগ বর্জ্য অপসারণ করতে পারেননি পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।
শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের পাশে কোরবানির পশুর বর্জ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। অনেকে আবার পৌরসভার ড্রেনের মধ্যে গরুর বর্জ্য ফেলে রাখায় পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শহরের অভিজাত এলাকা জলেশ্বরীতলার অবস্থা আরও খারাপ। সড়কের যেখানে সেখানে গরুর হাড়, ছাগলের চামড়া ফেলে রাখা হয়েছে। কাক এবং কুকুর সেগুলো ছিটিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
এছাড়াও শহরের স্টেশন রোড, শেরপুর রোড, চেলোপাড়া, নাটাই পাড়া, কাটনারপাড়া, ঠনঠনিয়াসহ প্রতিটি ওয়ার্ডে কোরবানির পশুর বর্জ্যের দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষিত হয়ে উঠেছে। তাই লোকজন নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার মহল্লা ভিত্তিক সংগঠন সিবিও কর্মী বাহার উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঈদের দিন থেকেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করছি। কিন্তু পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ঈদের দিন কেউ কাজে আসেননি।’
তবে বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান জানান, পৌরসভার নিজস্ব আড়াইশ পরিচ্ছন্ন কর্মী বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগেই সকল বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হবে।
তিনি আরও জানান, ২১টি ওয়ার্ডের জন্য যে পরিমাণ জনবল প্রয়োজন তা নেই। এছাড়াও ট্রাক প্রয়োজন ২১টি, সেখানে রয়েছে ৩টি। আরও ১৪টি ট্রাক ভাড়া নিয়ে বর্জ্য অপসারণের কাজ চলছে।