বগুড়ায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমেছে
বগুড়ায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। ঈদের আগে ও পরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা অনেক কমেছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) পর্যন্ত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯৭ জন। এর মধ্যে শজিমেক হাসপাতালে ৭৮ জন এবং অন্যরা শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বগুড়ার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত বগুড়ায় ৭২২ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৬২৫ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
তবে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তারা বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আরিফুর রহমান তালুকদার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ঈদে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা করা হলেও সেভাবে বাড়েনি। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা এবং রোগ নির্ণয়ের সব রকম ব্যবস্থা ঠিকঠাক আছে। এ কারণে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
এদিকে কোরবানি ঈদের পর পৌরসভার পক্ষ থেকে মশা নিধনের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
বগুড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, মশক নিধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পৌরসভার ২১ ওয়ার্ডে ১০টি ফগার মেশিন, ৪৭টি স্প্রে মেশিন দিয়ে কাজ চলছে।
তবে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মশা নিধন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। জেলার প্রতিটি থানায় একজন করে পুলিশ কর্মকর্তাকে মশা নিধন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পুলিশের এই কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রতিদিনই পুলিশের পক্ষ থেকে মশা নিধন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম নিজেই মশা নিধন কার্যক্রম তদারকি করছেন।