১০ হাজার টাকা দিলে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পাবে সোনীয়া
স্থানীয় চেয়ারম্যান আর গ্রামের মেম্বারের কাছে বার বার গিয়েও সোনীয়ার জন্য একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পায়নি তার পরিবারের সদস্যরা। নগত দশ হাজার টাকা গ্রামের মেম্বারকে দিলে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পাবে সোনীয়া। কান্না জড়িত কণ্ঠে এমনটাই বলছিলেন চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার খাসকররা গ্রামের খর্বাকৃতি প্রতিবন্ধী সোনীয়ার পরিবার।
আলমডাঙ্গার খাসকররা মাঝের পাড়ার দিনমজুর শাহেদ আলীর বড় মেয়ে সোনীয়া। পরিবারের সদস্যরা জানান, সোনীয়ার বর্তমান বয়স ১৫ বছর। বয়েসের দিক থেকে সোনীয়া কিশোরী হলেও উচ্চতায় ২ ফুট ৩ ইঞ্চি। গ্রামের সবাই তাকে খর্বাকৃতি মানুষ হিসেবে চেনে। সামনে থেকে দেখলে মনে হবে সে ৫ বছরের একটা শিশু। এই ১৫ বছরেও গ্রামের মাতব্বর, মেম্বার আর চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য বলা হলেও তারা এবিষয়ে কোন কর্ণপাতই করেননি।
সোনীয়ার মা ববিতা খাতুন বলেন, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হলেও পড়ালেখার প্রতি অনেক আগ্রহ তার। অভাব-অনটন থাকা সত্ত্বেও সোনীয়ার লেখাপড়া আর চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি।
সোনীয়ার বাবা শাহেদ আলী বলেন, তার মেয়ে প্রতিবন্ধী হলেও মেয়ের প্রতি বাবার যতটুকু দায়িত্ব থাকে কষ্ট হলেও তা পূরণ করার চেষ্টা করি।
প্রতিবেশীরা জানায়, সোনীয়া তার বয়সী খেলার সাথী না পেলেও ছোট ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা করে। আবার তাদের সঙ্গেই স্কুলে যায়।
খাসকররা বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, সোনীয়া তার স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। সে নিয়মিত স্কুলে আসে।
খাসকররা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অভিযুক্ত মেম্বার মতিয়ারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে সেটি সত্য নয়। সোনীয়া কোন প্রতিবন্ধী নয় বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতিবন্ধী সোনীয়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি। পরবর্তীতে সাহায্যে আসলে তারা পাবে।