পরিবারের দাবি হত্যা, পুলিশ বলছে সড়ক দুর্ঘটনা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নিহত শাওনের স্বজন ও সহপাঠীদের মানববন্ধন কর্মসূচি

নিহত শাওনের স্বজন ও সহপাঠীদের মানববন্ধন কর্মসূচি

বগুড়ায় কলেজছাত্র সাব্বির রহমান শাওনের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন ও জড়িতদের গ্রেফতার দাবি করে বগুড়ায় মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে শহরের সাতমাথা এলাকায় শাওনের স্বজন ও সহপাঠীরা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দুই বন্ধু শাওনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন শাওন।

বুধবারের মানববন্ধন ও সমাবেশে শাওনের বাবা হাবিবুর রহমান জানান, সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ থেকে চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ শাওনকে ১১ আগস্ট রাতে তার বন্ধু মুন্না ও মিঠু শহরের ঠনঠনিয়া এলাকার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

রাত ১২টার পর থেকে তার ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও শাওনের সন্ধান পাননি। পরদিন ভোরে (ঈদের দিন) শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল বাজার এলাকায় মহাসড়কের পাশে শাওনের মরদেহ পাওয়া যায়।

হাবিবুর রহমানের অভিযোগ, মুন্না ও মিঠু পরিকল্পনা করে তার ছেলেকে ঈদের আগের রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে খুন করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতেই শাওনের মৃত্যুকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করছে। তাই তিনি শাওনের বন্ধু মুন্না ও মিঠুকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান শাওনের বাবা।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ঘটনাস্থলের পাশে থাকা একটি প্রতিষ্ঠানের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, বন্ধুদের বাইক থেকে পড়ে যাবার পর আরেকটি বাসের চাপায় শাওন মারা গেছেন।

প্রকৃত ঘটনা আড়ালের চেষ্টা করছে পুলিশ—পরিবারের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনাটি শুরু থেকেই পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখেছে।