বাল্যবিয়ে বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, অভিভাবকদের জরিমানা
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় একই দিনে দুই স্কুল ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা করেছেন সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিসুর রহমান।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাতে সিরাজগঞ্জ সদরের রতনকান্দি ইউনিয়নের দত্তবাড়ী গ্রামের নবম শ্রেণীর মাদরাসা ছাত্রী মাসুমা আক্তার (১৬) এবং কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের চর বনবাড়ীয়া গ্রামে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী জুই খাতুন (১৩) এর বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদরের রতনকান্দি ইউনিয়নের দত্তবাড়ীতে দল নিয়ে কনের বাড়িতে উপস্থিত হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দত্তবাড়ী গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের মেয়ে মাসুমা আক্তার (১৬) এর সাথে বর রায়গঞ্জ উপজেলার তেবাড়ীয়া গ্রামের মোঃ শাজাহান আলীর পুত্র রেজাউল করিমের (২৩) বিয়ের আয়োজন চলছিল।
আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কাজী পালিয়ে যায়। কনে স্থানীয় মাদরাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী। কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিয়ে বন্ধ করে কনের বাবার কাছ থেকে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না বলে মুচলেকা নেন এবং কনের পিতা রফিকুল ইসলাম ও বরের পিতা শাজাহান আলী প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
এরপর রাতে কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের চরবনবাড়ীয়া গ্রামে বাল্যবিয়ে বন্ধে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বরের বাড়িতে কনে চরবনবাড়ীয়া গ্রামের মোঃ জহুরুল ইসলাম এর কন্যা জুই খাতুন (১৩) এর সাথে বর একই গ্রামের মোঃ ছাকাওয়াত শেখ এর পুত্র মোঃ আলামিন শেখ (২০) এর বিয়ের আয়োজন চলছিল। কনে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিয়ে বন্ধ করে কনের পিতা ও বরের পিতার কাছ থেকে বর ও কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দেবেন না বলে মুচলেকা নেয়া হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পেশকার আঃ সাত্তার ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যবৃন্দ।