আসামি ধরতে গিয়ে মারধর ও টাকা লুটের অভিযোগ

  • উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা টোয়েন্টিফোর.কম, আশুলিয়া, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অভিযুক্ত এসআই মনিরুজ্জামান

অভিযুক্ত এসআই মনিরুজ্জামান

সাভারের আশুলিয়ায় পরোয়ানাধারী আসামি গ্রেফতার করতে গিয়ে আসামির পরিবারের মহিলা সদস্যসহ কয়েকজনের ওপর হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান ও তার ৩ সোর্সের বিরুদ্ধে। এর আগে মামলা বাদ দেওয়ার কথা বলে ওই এসআই ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ করছে পরিবারটি।

শনিবার (৩১ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার নরশিংহপুরের গুমাইল এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরোয়ানাধারী আসামি আতিককে গ্রেফতার করতে প্রথমে আসামির বাড়িতে যায় ৩ সোর্স। পরে আসামির ভাই মজিদের দোকানের সামনে আতিককে পেয়ে সোর্সরা তাকে ধরে মারধর করতে থাকে। মারধরের এক পর্যায়ে আতিকের পরনের লুঙ্গি খুলে গেলে তার ভাই মজিদ এগিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে মজিদ বলেন, আমি বলেছি স্যার লুঙ্গিটা পরতে দেন, মারধর কইরেন না। এসময় সোর্সরা অকথ্য ভাষায় গালি দিতে থাকে এবং কাউকে ফোন করে বলে, স্যার ধরছি আসেন। কিছুক্ষণ পর আশুলিয়া থানার এসআই মনিরুজ্জান ঘটনাস্থলে এসে তিনিও আমার ভাইকে গালি-গালাজ এবং মারধর করতে থাকে।

এসময় আমি অনুরোধ করলে এসআই আমাকেও অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে মারধর করে। আমার মা, চাচা ও চাচী এগিয়ে এসে এসআইকে বলেন, আতিক অপরাধ করলে তাকে ধরে নিয়ে যান কিন্তু মজিদকে মারছেন কেন? এ কথা বলতেই তাদেরও লাথি মারতে থাকে। এবং এক পর্যায়ে আমাকে মাদক ব্যবসায়ী বলে আমার দোকান তল্লাশির নামে দোকানে ঢুকে কিস্তির ৬৯ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়।

মজিদের চাচী সুফিয়া বলেন, আমি বলেছিলাম যদি আতিক আসামি হয়ে থাকে তাহলে তাকে ধরে নিয়ে যান, মেরে বিবস্ত্র করেছেন কেন? লুঙ্গিটা পরার সুযোগ দেন। একথা বলতেই আমাকেও তারা লাথি মারে।

তিনি আরো বলেন, এর আগেও (এসআই) মনিরুজ্জান এখানে এসেছে। আসামি-তালিকা থেকে নাম কাটার কথা বলে এর আগে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে। টাকা নেওয়ার পর আতিকের নামে আরো একটা মামলা দিয়েছে এই এসআই। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে এই পরিবারকে হয়রানি করছেন তিনি।

এদিকে ৬৯ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন লুটের বিষয়ে জানতে চাইলে তা অস্বীকার করে এসআই মনিরুজ্জামান এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘ভাই একটু অনুরোধ রইল, দেখে লিখবেন। আমার দাবি সঠিকটা লেখা হোক। তারপর যা করার করেন।’