উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে
শিল্প ও সংস্কৃতির বিকাশে অবদান রাখলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি হামলার ৬ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত সংস্কার করা হয়নি। তবে কালচারাল অফিসার জানান, সংশ্লিষ্ট বিভাগে সংস্কারের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। এদিকে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর রায় ঘোষণার দিন মুক্ত চর্চার কেন্দ্র হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
লোকজ সংস্কৃতি আর ইতিহাস ঐতিহ্যের সমৃদ্ধ এক জনপদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। এ জেলার শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে জেলার শীর্ষ সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৫৫ সালে পাকিস্তান আর্ট কাউন্সিল নামে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। আর স্বাধীনতার পর ললিতকলা একাডেমি হিসাবে পরিচিত ছিল এ সংগঠনটি। পরে ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চাঁপাইনবাবগঞ্জে এর যাত্রা শুরু।
বর্তমানে কণ্ঠ সংগীত, নৃত্য, যন্ত্র সংগীত, নাট্যকলা ও চারুকলা এই ৫টি বিভাগে ১৪০ জন শিক্ষার্থী এবং কণ্ঠ সঙ্গীতে প্রশিক্ষক ৩, নৃত্যতে ২, যন্ত্র সংগীতে ১ এবং সহকারী ২, নাট্যকলায় ১ ও চারুকলায় ১ জন প্রশিক্ষক রয়েছে।
জেলা কালচারাল অফিসার মো.ফারুকুর রহমান ফয়সল জানান, বিগত বছরের যে পুঞ্জিভূত সমস্যা ছিল তা সমাধান সম্ভব হয়েছে। এছাড়া শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতিবান ব্যক্তিত্বদের পদচারণয় বর্তমান শিল্পকলা আঙ্গিনা এখন মুখরিত হয়ে থাকে।
শিল্পকলা একাডেমি সংস্কারের বিষয়ে জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে প্রকল্প আকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করা যায় চলতি অর্থ বছরে সংস্কার কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি বাড়তি সৌন্দর্য বর্ধন এবং মিলনায়তনটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিল্প ও সংস্কৃতির বিকাশে আধুনিক মানের শিল্পকলা একাডেমি গড়ে তোলা হবে।’