প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঠাকুরগাঁও
প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবন

প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবন। টানা ভ্যাপসা গরম আর অনাবৃষ্টির কারণে মানুষের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত। সোমবার  (২ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে  তীব্র গরম আর সূর্যের প্রখর তাপে মানুষের বিপর্যস্ত জীবনের চিত্র দেখতে পাওয়া যায়।

ঘরে-বাইরে কোথাও যেন একটু স্বস্তি নেই। মানুষও প্রচণ্ড রোদে ঘর থেকে সহজে বের হচ্ছেন না। দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন সবচেয়ে বিপাকে।  তীব্র  রোদ ও প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

ক্লান্তি দূর করতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন রিকশাচালকরা। গরমের কারণে বেশ চাহিদা দেখা গেছে ঠান্ডা পানি, আখের শরবত, আনারস এবং শসার। শহরের বিভিন্ন স্থানে এসবের ভ্রাম্যমাণ দোকান নিয়ে বসেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।

পঞ্চগড় আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়ে গত একমাস ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রী ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

এদিকে শিক্ষার্থীদের ছাতা মাথা নিয়ে স্কুল-কলেজে যেতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা তৃষ্ণা মিটাতে ছুটে যাচ্ছেন সড়কের ধারে থাকা ভ্রাম্যমাণ শরবতের দোকানগুলোতে।

পথচারী জয়নাল বার্তাটোয়েন্টিফোরকে জানান, যা গরম পড়েছে তাতে থাকা খুব কষ্টদায়ক। বাসা থেকে বের হতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু কি করার বের হতেই হবে।

শহরের সার্কিট হাউজের সামনে গাছের নিচে বসে রয়েছেন রিকশাচালক জাহিদ হাসান। একটু কাছে যেতেই দাঁড়িয়ে পড়লেন তিনি। বলে উঠলেন, ভাইরে এবার যা গরম। কোথাও একটু বাতাস নাই। গাছের নিচে গরম কম আছে তাই একটু বিশ্রাম নিচ্ছি।

প্রচণ্ড গরম সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। জেলার হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছেন শিশুসহ নানা বয়সের রোগী।

হাসপাতালের তথ্য মতে,  গরমের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এসব রোগী শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: শাহজাহান নেওয়াজ বার্তাটোয়েন্টিফোরকে জানান, কিছুদিন ধরেই প্রচণ্ড গরম পড়েছে। যার ফলে শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বাড়ছে। পাশাপাশি বয়স্করাও ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন।

গরমে শিশুদের পরিচর্যার বিষয়ে তিনি বলেন, এই গরমে বাচ্চাদের সবসময় নরম পোশাক পরিয়ে রাখতে হবে। ঘাম যাতে শরীরে না বসে সেদিকে মায়েদের খেয়াল রাখতে হবে। শিশুদের ঘনঘন তরল জাতীয় খাবার খাওয়নোর পরামর্শ দেন তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;