পটুয়াখালী শহরের অলি-গলিতে ময়লার ভাগাড়!
পটুয়াখালী শহরের যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা আবর্জনা। পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করলেও বাস্তবে অনেক এলাকাতেই এখন অস্থায়ী ময়লার ভাগাড় তৈরি হয়েছে। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে, এটি বাস্তবায়িত হলে সমস্যার সমাধান মিলবে।
পটুয়াখালী শহরের ২০-২৫টি স্পটে এখন অস্থায়ী ময়লা আবর্জনার ভাগাড় তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে জেলা পরিষদের পেছনের সড়ক, শেরে বাংলা বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে, রশিদ কিশলয় বিদ্যায়তনের দক্ষিণ পাশ, পটুয়াখালী ক্লাবের পূর্ব পাশের ডোবা, ব্যামাগার'র পূর্ব পাসের দেয়ালসহ শহরের প্রধান সড়ক ও বিভিন্ন অলি-গলিতে দেখা মিলছে ময়লা আবর্জনা।
এসব আবর্জনা পরিচ্ছন্ন কর্মীরা পরিষ্কার করলেও অনেক এলাকাতেই এখন ময়লা আবর্জনার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এর ফলে সড়কে চলাচলকারী মানুষকে রীতিমত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ না করায় এবং ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য শহরে নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী ভাগাড় তৈরি হয়েছে। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে আরও কয়েকগুণ।
এদিকে শুধু শহরে অলিতে গলিতেই নয়, পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের অভ্যন্তরেও ময়লা আবর্জনা রয়েছে। রোগীদের ব্যবহৃত মেডিসিন, সিরিঞ্জ, সুই থেকে শুরু করে সবকিছু হাসপাতালের কমপাউন্ডে মূল সড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে। এতে করে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মাত্রা বাড়ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. জিয়াউল করিম জানান, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে ডায়রিয়া আমাশয়সহ বিভিন্ন চর্ম রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, 'দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আমি এই সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু করেছি। কীভাবে শহরের ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে তা প্রক্রিয়াজাত করা যায় সেজন্য একটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে দৃশ্যমান সমাধান মিলবে।'
এদিকে শহরের ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে তা ফেলার জন্য পৌরসভার নিজস্ব কোনো ডাম্পিং জোন না থাকায় শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা আবর্জনা নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বলেও জানান পৌর মেয়র।