কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া রুটে গাড়ির অপেক্ষায় ফেরি

  • রফিকুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মাদারীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অল্পসংখ্যক যানবাহন নিয়ে ঘাট ছেড়েছে ফেরি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

অল্পসংখ্যক যানবাহন নিয়ে ঘাট ছেড়েছে ফেরি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রাজধানীসহ সারাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম নৌরুট কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া। দেশের ব্যস্ততম নৌরুট হওয়া সত্ত্বেও বছরের বিভিন্ন সময়ে নানা কারণে ফেরি চলাচলে সংকট লেগে থাকে। তবে এখনকার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। উল্টো যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরিকে। কোনো কোনো ফেরি অল্পসংখ্যক যানবাহন নিয়ে ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিটিএ) কাঁঠালবাড়ি ও শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, এ নৌরুটে প্রতিদিন যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের কয়েক হাজার যানবাহন ফেরি পারাপার হয়। তবে ফেরি সংকট, বৈরী আবহাওয়া, ঘাট সমস্যা, নাব্যতা সংকটসহ নানা কারণে বছরের অধিকাংশ সময় এই নৌরুটে ফেরি পারাপার ব্যাহত হয়। ফলে নৌপথ পাড়ি দিতে আসা যানবাহনগুলোকে ফেরির অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটেই আটকা পড়ে থাকতে হয়। ফলে দূরপাল্লার বাসযাত্রী, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হয়।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে সবধরনের মোট ১৮টি ফেরি, ৮৭ টি লঞ্চ ও দুই শতাধিক স্পিডবোট যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নিয়োজিত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় নেই কোনো পরিবহন। খুব কম সংখ্যক যানবাহন চলাচল করছে। সাধারণত ফেরি লোড হতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগতো, সেখানে এখন ফেরি বোঝাই হতে যানবাহনের অপেক্ষায় আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা সময় লাগছে। আবার কোনো কোনো ফেরি চার থেকে পাঁচটি গাড়ি নিয়েই ছেড়ে যেতে হচ্ছে শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশে।

খুলনা থেকে ঢাকাগামী ট্রাক চালক হানিফ মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘অনেকদিন পর কোনো সিরিয়াল ছাড়াই ফেরিতে উঠতে পারলাম। ঘাটে কোনো যানজট নেই। সব সময় ঘাট এমন থাকলে ভালো হতো।’

বিআইডব্লিউটিএ'র কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক জসিম মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘দুপুর থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। খুব কম সংখ্যক যানবাহন পার হচ্ছে ঘাট দিয়ে। যানবাহনের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে ফেরিগুলোকে।’