বাড়তি টাকা ছাড়া লাইসেন্স হয় না বিআরটিএতে!
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ে সরাসরি মোটরযান লাইসেন্স করা যায় না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। অথচ শোরুমের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা দিলে রেজিস্ট্রেশন করতে সমস্যা হয় না বলে দাবি তাদের।
ভুক্তভোগী আবদুল্লাহ আল মামুন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশনের জন্য সম্প্রতি বিআরটিএর লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের মোটরযান পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে সব কাগজপত্র জমা দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি শোরুমের মাধ্যমে বাড়তি টাকা দিয়ে লাইসেন্স করানোর পরামর্শ দেন। তিনি দাবি করেন, এখানে সরাসরি কোনো লাইসেন্স করা হয় না। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন শোরুমের মাধ্যমে করতে হয়।’
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মোটরসাইকেল শোরুমের সত্ত্বাধিকারী জানান, হাজার টাকা ভর্তি একটি খাম জাহাঙ্গীর আলমকে দিলে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়রানির শিকার হতে হয় না। আমাদের শোরুমের সব কাজ অতিরিক্ত টাকা দিয়েই করতে হয়। টাকা দিলে আর ঝামেলা থাকে না।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিআরটিএ লক্ষ্মীপুর সার্কেল কার্যালয়ের মোটরযান পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমাদের কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক নেই। মোটরসাইকেলের লাইসেন্স সরাসরি করতে হলে নতুন স্যার আসলে যোগাযোগ করতে হবে। তবে নতুন স্যার কবে যোগদান করবেন, সেটা জানি না।’
জানা গেছে, বিআরটিএ লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের প্রধানের পদটি দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য রয়েছে। গত ২১ মে দুর্নীতি ও সেবাগ্রহীতাদের হয়রানির অভিযোগে এখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোয়াখালী সমন্বিত কার্যালয়ের একটি দল অভিযান চালায়। তদন্তে দুদক টিম অভিযোগের সত্যতা পায়। এ সময় বিআরটিএ লক্ষ্মীপুর সার্কেল কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে লিখিত মুচলেকা নেওয়া হয়। ওই সময় কার্যালয়ের সহকারী মাহবুবকে সতর্ক করা হয়েছিল। সম্প্রতি সহকারী পরিচালক আনোয়ার বদলি হয়ে গেছেন। এখনো তার পদে নতুন কেউ আসেননি।