হিলি বন্দরে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫ টাকা
ভারতের কাঁচা পণ্যের মূল্য নির্ধারণ সংস্থা ‘ন্যাপেড’ রফতানিযোগ্য পেঁয়াজের দাম তিনগুণ বৃদ্ধি করায় হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। গত ২ দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বন্দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। গত বৃহস্পতিবার বন্দরে এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৮ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে।
ভারতীয় কৃষিপণ্য মূল্য নির্ধারণকারী সংস্থা ‘ন্যাপেড’ গত শুক্রবার হঠাৎ করে পেঁয়াজের রফতানি মূল্য সাড়ে ৩শ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮৫২ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে। ফলে বন্ধ হয়ে যায় বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি।
আগের দেওয়া সাড়ে ৩শ ডলারে এলসিগুলোর বিপরীতে ভারতের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি না দেওয়ায় শনিবার থেকে বিপাকে পড়ে দেশের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন ব্যাংকে পুরনো এলসিগুলো পুনরায় অ্যামানমেন্ড এবং নতুন করে এলসি করে পেঁয়াজ আমদানি করছেন আমদানিকারকরা।
এতোদিন প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হলেও এখন থেকে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৮৫২ মার্কিন ডলারে ব্যবসায়ীদের আমদানি করতে হচ্ছে।
আমদানিকারক মাহফুজার রহমান বাবু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানায়, বৃহস্পতিবার হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রোববার ৮৫২ ডলারে আমদানি করা পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে। এদিকে, ভারত সরকার পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বাড়িয়ে দেওয়ায় দেশের খোলা বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।
হিলি অগ্রণী ব্যাংক ম্যানেজার আফতাবুজ্জামান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘হঠাৎ করে পেঁয়াজের এলসির বিপরীতে ডলার মূল্য বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীরা পুরনো এলসি অ্যামানমেন্ড করছে। আবার অনেকে ৮৫২ ডলারে নতুন এলসি খুলছে।’