সূর্য ডুবতেই সৈকতে মিলছে সামুদ্রিক মাছের স্বাদ
সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের বেলাভূমি হিসেবে পরিচিত কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। সূর্যোদয় থেকে শুরু করে দিনভর পর্যটকরা সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে কিংবা সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত থাকেন। তবে সন্ধ্যা নামতেই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু সৈকতের ভাসমান মাছের দোকানগুলোতে। রাতে সৈকতে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি এখানে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের স্বাদ নেওয়া যায়।
পর্যটকরা ইচ্ছে করলেই এখানে মাছের বারবিকিউ কিংবা মাছ ভাজা (ফিস ফ্রাই) খেতে পারেন। পর্যটকদের কাছে মাছের থেকেও প্রিয় হচ্ছে কাঁকড়া ফ্রাই। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে লইট্টা, রূপচাঁদা, টুনা, কোরাল মাছের চাহিদা সব থেকে বেশি বলে জানান বিক্রেতারা। এছাড়া কেউ কেউ আবার সামুদ্রিক চিংড়ির স্বাদও নিয়ে থাকেন। তবে মাছের স্বাদ এবং পরিবেশন সব কিছু মিলিয়ে দাম সবার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই থাকে বলে জানান এখানকার মাছ ব্যবসায়ীরা।
কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসা করছেন মোঃ বেল্লাল হোসেন। তিনি জানান, পর্যটকদের যার যেমন সাধ্য তিনি তেমন মাছ কিনে বারবিকিউ কিংবা ফ্রাই করতে দেন। একটি মাছ ফ্রাই কিংবা বারবিকিউ করতে তাদের ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে। এছাড়া অনেকে মাছের সঙ্গে সাদা রুটি কিংবা পরোটাও খেয়ে থাকেন বলে জানান তিনি।
তবে পর্যটকরা বলছেন মাছের দাম এখানে কিছুটা বেশি এবং মাছ কাটাকুটি করার পরিবেশটা ততোটা ভালো নয়। এছাড়া পুরাতন তেলে মাছ ভাজি করা, মাছের মান খারাপ হওয়াসহ পচা মাছ বিক্রি করার অভিযোগ করছেন অনেক পর্যটক।
তবে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কুয়াকাটায় দিন দিন পর্যটকদের পদচারণা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি ফিস ফ্রাইয়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েই চলেছে।