মরা তিস্তায় আবার পানি বৃদ্ধি

  • নিয়াজ আহমেদ সিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, লালমনিরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তিস্তা ব্যারেজ | ছবি: সংগৃহীত

তিস্তা ব্যারেজ | ছবি: সংগৃহীত

ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে শুকিয়ে যাওয়া তিস্তা ফিরে পেয়েছে চিরচেনা রূপ।

তিস্তায় পানি প্রবাহ বাড়ায় হাতীবান্ধা-বড়খাতা বাইপাস সড়কের পাকা রাস্তার উপর দিয়ে আশপাশের গ্রামগুলোতে ঢুকছে পানি। এ কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের দোয়ানী পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮১ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপরে। এ পয়েন্টের স্বাভাবিক পানি প্রবাহের রেকর্ড ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।
Teesta

গত সপ্তাহজুড়ে বিপদসীমার ৩৫/৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সোমবার রাত থেকে হঠাৎ বাড়তে থাকে তিস্তার পানি প্রবাহ। যা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

মঙ্গলবার বিকেল থেকেই তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে বিপদসীমার ২১ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদীর তীরবর্তী রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে হাটখোলা সড়কের পাশে পানি আসা শুরু করেছে। এছাড়াও হাতীবান্ধা থেকে বড়খাতার বাইপাস সড়কের তালেব মোড় এলাকার সড়কটি আবারও ভেঙে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

হঠাৎ তিস্তায় পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের সবজি চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করা কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাদের পুনরায় জমি কর্ষণ দিয়ে ফসল বুনতে হবে।

পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী গ্রামের অস্থায়ী বাঁধগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। এসব বাঁধ ভেঙে গেলে তিস্তার পানি হাতীবান্ধা শহরে ঢুকে পড়বে। অন্যদিকে আদিতমারী উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার না করায় হুমকির মুখে পড়েছে মহিষখোচার বেশ কয়েকটি অংশ।

দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বার্তাটেয়োন্টিফোর.কমকে বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ রাত ১২টা থেকে বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আপাতত সবগুলো জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সকাল হলে পানি প্রবাহ আবারও কমে যেতে পারে।