ইলিশ রক্ষা অভিযান, বরিশালে বেড়েছে জেল-জরিমানা
মা ইলিশ রক্ষায় পরিচালিত অভিযানে বরিশালে এ বছর ৫৭১ জন জেলেকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর জরিমানা করা হয়েছে ২৩ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা। যা গত বছরের চেয়ে ৫০ ভাগ বেশি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু সাঈদ বার্তা টোয়েন্টিফোর.কমকে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, গত ৯ অক্টোবর থেকে মা ইলিশ রক্ষার অভিযান শুরু হয়। এ অভিযান বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে। জেলা মৎস্য অফিসে জনবল সীমিত থাকা সত্ত্বেও রাতদিন পরিশ্রম করে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে নিবন্ধিত জেলেদের চেয়ে মৌসুমী জেলেদেরকে বেশি কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে ১৮ বছরের নিচে জেলেদের শর্তসাপেক্ষ ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আবু সাঈদ আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর এই অভিযানে প্রায় ৫০ ভাগ বেশি জেল-জরিমানা,জাল উদ্ধার ও ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। যদি সামনের দিনগুলোতে ইলিশ ধরার নিষেজ্ঞার সময় মা ইলিশ ও জাটকা ধরা থেকে জেলেরা বিরত থাকে তাহলেই এ অভিযান সার্থক হবে।
বরিশাল জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলা জুড়ে ২২ দিনে ৮৬৯টি অভিযানে
৫৭৭ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ২৬৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আটককৃতদের মধ্যে ৫৭১ জন জেলের বিরুদ্ধে ৮৬৭টি মামলা দায়ের ও ২৩ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ শত টাকার আর্থিক জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও অভিযানে জেলেদের আটকের সময় ২৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯০০ শত মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৭ হাজার ২০০ শত টাকা। ইলিশ জব্দ করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫৮ মেট্রিকটন। জব্দকৃত ইলিশ স্থানীয় এতিম খানা ও লিল্লাহ বোডিংয়ে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে, ইলিশ ধরা নিষেজ্ঞার সিদ্ধান্তে অমান্য করার অপরাধে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার বন্দর থানা পুলিশের আট এবং জেলার মেহেন্দীগঞ্জ থানা পুলিশের ২ জন সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আর বিষখালী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার একদিন পর মো. মজিবুর মৃধা নামে বরিশাল জেলা যুবলীগের এক নেতার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, মা ইলিশ ধরা, বাজারজাত, পরিবহনের ক্ষেত্রে গত ৯ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। গতকাল রাত ১২টার পর থেকেই জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে পারছেন।