কোনদিন খোলে, কোনদিন খোলে না
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হলেও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চরাঞ্চলের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সেবা। বেশিরভাগ সময়ই তালাবদ্ধ থাকে ক্লিনিকগুলো। এমনি অভিযোগ ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গত ৩০ অক্টোবর ৭ নভেম্বর বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় চর শাখাহাতি কমিউনিটি ক্লিনিক ও নয়ার হাট কমউিনিটি ক্লিনিকে গেলে ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ দেখা যায়। ক্লিনিকে শুধু সমস্যা আর সমস্যা। ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও বেশিরভাগ সময়ই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ থাকে, সময়মতো খোলা হয় না। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে মানুষকে সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন হচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা জামিল হোসেন বলেন, ক্লিনিকটা প্রতি হাট বার (রবিবার, বুধবার) বন্ধ দেখা যায়, যে দায়িত্বে থাকে তিনি হাটের দিন করে ওপারে থাকে আসতে আসতে ১২ টা ১টা বেজে যায়, কোনদিন খোলে কোনদিন খোলে না।
শামীম মিয়া নামের এক যুবক বলেন, প্রতিদিন খোলে কোন দিন ১২ টা কোন দিন ১ টাও বাজে। এভাবেই চলছে।
ক্লিনিকগুলোতে ওষুধের সংকট রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। রোগীদের অভিযোগ, চিলমারীর ক্লিনিকগুলোতে পর্যাপ্ত ওষুধ পাওয়া যায় না। এ ব্যাপারে কমিউনিটির দায়িত্বরত সিএইচসিপি ইয়াছিন রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি ওজন পরিমাপের যন্ত্র নেয়ার জন্য সদর হাসপাতাল গিয়েছেন বলে ক্লিনিকটি বন্ধ বলে জানান।
এ ব্যাপারে সদর হাসপাতাল এর হেলথ ইন্সপেক্টর বাবুল কুমার এর সাথে কথা বলে জানা যায়, ইয়াছিন বুধবার ওষুধ ও ওজন মাপার যন্ত্র নেয়ার জন্য সদরে ছিল তাই বন্ধ। প্রতি হাটবার বন্ধ থাকে এমন অভিযোগের প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এলাকার সব মানুষ তো আর নয়, এক দুই একজন এমন অভিযোগ তুলতেই পারে।
রোগী এলেও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সরবরাহ না থাকায় দিন দিন কমছে রোগীর সংখ্যা। দিন দিন আস্থা হারিয়ে বসছে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর ওপর।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, খাউরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন। সেখানে নতুন লোক দেয়া হচ্ছে। চর শাখাহাতি কমিউনিটি ক্লিনিকটির ব্যাপারে আমি জানতাম না, ব্যবস্থা নিচ্ছি।