গারো ভূমি বিরিশিরিতে বার্তার আয়োজন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিরিশিরিতে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম’র আয়োজনে আড্ডা-আলোচনা | ছবি: শাহরিয়ার তামিম

বিরিশিরিতে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম’র আয়োজনে আড্ডা-আলোচনা | ছবি: শাহরিয়ার তামিম

বিরিশিরি থেকে: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম মানে ব্যতিক্রমী আয়োজন। নতুন কিছুর সঙ্গে পাঠক ও দর্শকদের পরিচিত করে দেওয়া। এমনই এক আয়োজন ছিল শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) নেত্রকোনোর দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর তীরবর্তী বিরিশিরি ইউনিয়নে। আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের বিশিষ্টজনদের নিয়ে চলে আড্ডা-আলোচনা ও মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন।

গারোদের ভূমি বলে খ্যাত বিরিশিরির ওয়াইডব্লিউসিএ’র হলরুমে দুপুরে শুরু হয় সীমিত পরিসরের এ আয়োজন। এতে উপস্থিত ছিলেন গারো সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে গারো সম্প্রদায়ের কৃষ্টি-কালচার, ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরেন গারো শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ মনীদ্রনাথ মারাক।


এতে আরও উপস্থিত ছিলেন—ওয়াইডব্লিউসিএ-এর পরিচালক রুমা সাংমা, ডন বস্কো স্কুল অ্যাণ্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল রুমন রাংসা, ডন বস্কো স্কুল অ্যাণ্ড কলেজের শিক্ষক সাগর রাংসা, ডন বস্কো স্কুল অ্যাণ্ড কলেজ প্রভাষক নিউটন দারিং, বিরিশিরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুরভি মান্দা, বিরিশিরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা লুদিয়া মালঞ্চ সাংমা, ডন বস্কো কলেজের প্রভাষক ক্রিস্টি চর্যা রাংসা।

বিজ্ঞাপন

গারোরা নিজেদের সংস্কৃতি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন বলে আলোচনায় উল্লেখ করেন গারো শিক্ষাবিদ মনীন্দ্রনাথ মারাক। তিনি বলেন, বহুজাতিক ও বিভিন্ন সংস্কৃতির আগ্রাসনে নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষায় হতাশায় ভুগছেন গারোরা। তবে বর্তমানে শিক্ষিত সমাজসহ সবাই সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতন হয়েছে। সংস্কৃতি রক্ষায় নিজেদের সন্তানের নাম গারো ভাষায় রাখছেন।


দেশের প্রথম মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টাল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম’র মতো গণমাধ্যম বর্তমান সময়ে খুবই প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন নেত্রকোনার দুর্গাপুরের বিরিশিরি ইউনিয়নের ডন বস্কো স্কুল অ্যাণ্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল রুমন রাংসা।

উপস্থিত অন্য বক্তরা বলেন, গারোরা বাঙালিদের সঙ্গে মিশতে মিশতে তাদের ভাষা সস্কৃতি ভুলে যেতে বসেছে। এজন্য সরকারের উচিত আদিবাসীদের ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।


তারা বলেন, গারোদের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে, ঘরবাড়িরও নির্মাণের আলাদা বৈশিষ্ট আছে। তারা নিজেদের সংস্কৃতি আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। গারো বা অন্য আদিবাসীদের সহযোগিতা করতে চাইলে গণমাধ্যমের উচিত তাদের কৃষ্টি-কালচার লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরা।

বিজ্ঞাপন

ঘণ্টাব্যাপী আড্ডা-আলোচনার পর ওয়াইডাব্লিউসিএ’র ডাইনিংয়ে মধ্যাহ্নভোজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন:
সংস্কৃতি রক্ষায় দ্বিধাদ্বন্দ্বে গারোরা
‘অন্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিশে নিজস্ব ভাষা ভুলে যাচ্ছে গারোরা’
বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের মতো গণমাধ্যম খুবই প্রয়োজন
বার্তার আয়োজনে আড্ডা-আলোচনায় গারো আদিবাসীরা