ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ মাদ্রাসায় ৪৬ ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঠাকুরগাঁও
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কালমেঘ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র থেকে তাদের শনাক্ত করা হয়,  ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কালমেঘ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র থেকে তাদের শনাক্ত করা হয়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় চলমান ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাঁচটি মাদ্রাসার মোট ৪৬ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে ঐ উপজেলার কালমেঘ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসব পরীক্ষার্থীদের শনাক্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্র সচিব ও কালমেঘ আর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হযরত আলী।

বিজ্ঞাপন

লালাপুর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ১০ জন, ছোট পলাশবাড়ী বলিদ্বারা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ৮ জন, রায়পুর সাজাদ আলী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ১১ জন, আরাজি সরলিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ৬ জন এবং লালাপুর সফিজ উদ্দীন স্বতন্ত্র মাদ্রাসার ১১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

কেন্দ্র সচিব জানান, পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন থেকেই সন্দেহ হয়েছিল। অবশেষে সত্যতা পেয়ে গত বুধবার ১১ জন ও আজ বৃহস্পতিবার আরও ৩৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, চলমান জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের ৬০০ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধ্য করেন মাদরাসা প্রধানরা। ভুয়া পরীক্ষার্থীদের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়। এরা চলতি বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা দিয়েছেন।

গত বুধবার ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত হওয়া লালাপুর গ্রামের ওই শিক্ষার্থী জানায়, লালাপুর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও তার ছেলে ৬০০ টাকার লোভ দেখিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে বলে। আমাদের কোনো সমস্যা হবে না, বাকি সবকিছু তারা ম্যানেজ করেছেন বলেও জানায় ওই শিক্ষার্থী। তবে তার অভিভাবক জানান, তার ছেলের জেএসসি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আবার অন্য মাদ্রাসার হয়ে পরীক্ষা দিয়েছে এ বিষয়ে ধরা পড়ার পর তিনি জেনেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমন জানান, বৃহস্পতিবার পরীক্ষা কেন্দ্রে শনাক্ত হওয়া পরীর্ক্ষাথীদের অভিভাবকের নিকট মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শনাক্ত হওয়া ৪৫ মাদরাসা প্রধানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।